বিএনপিকে চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের (বিএনপি) পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।
জেনেভায় হিলটন হোটেলে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ তাদের ভোট দেবে। জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে। এটা গণতান্ত্রিক ধারা এবং তা অব্যাহত থাকবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, বিএনপি এটা ভালো করেই জানে, তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের কোন ভোট পাবে না। সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।
সুইজারল্যান্ডে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা।
তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করার পূর্বশর্ত মেনে নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। সুতরাং জনগণ তাদের (বিএনপি) আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং সে কারণেই তারা জনগণের ভোট পায় না।
সরকার পতনের জন্য বিএনপির হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এতটা দুর্বল নয়। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে হৈচৈ ছিল, তারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করবে। আমরা এমন দুর্বল পর্যায়ে নেই যে তারা আমাদের পতন ঘটাবে। আমাদের সাথে জনগণ আছে, আমাদের শক্তি আমাদের জনগণ।
নির্বাচনকালীন তত্ত্ববাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি, কিন্তু বিএনপি এখনও তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।
তিনি আরও বলেন, চোরদের, স্বাধীনতা বিরোধীদের ও খুনিদের ক্ষমতায় এনে আমরা বাংলাদেশকে অন্যের কাছে মাথা নত হতে দেব না।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে। যারা দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছে, যারা লুটপাট করেছে, দুর্নীতি করেছে, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছে, এটাই এখন মূল ইস্যু যে, তারা দণ্ডিত ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে কি না।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ যে মর্যাদা পেয়েছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
বাংলাদেশের যে কোনো সংকটে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে। তিনি প্রবাসীদেরকে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ মাধ্যমে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানান।