এদিন সাকিব সেঞ্চুরি না পেলেও পুরো ইনিংস জুড়েই প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর দেখান আক্রমণাত্মক মনোভাব। ৯ চারে ৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। আউট হন ৯৪ বলে ৮৭ রান করে। পরে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, সাকিবের এমন চড়া মেজাজে খেলার কারণ। সাকিব নাকি তাকে আগেই জানিয়েছিলেন যে, আইরিশদের বিপক্ষে তিনি তুলে নিবেন দ্রুততম সেঞ্চুরি।
গতকাল বুধবার (৫ এপ্রিল) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি বলেন, ‘আমি সকালে তাড়াহুড়ো করে আসছিলাম দুটো সেঞ্চুরি দেখতে। তবে একটা ফসকে গেল। কারণ খেলা শুরু হওয়ার আগেই আমাকে সাকিব বলেছিল যে, ও দ্রুততম সেঞ্চুরি করবে। তখন আমি ওকে বলেছি, এই এগুলো চলবে না, আগে ফিফটি করো তার পরে। যাতে ও তাড়াহুড়ো না করে। তো ও ভালো খেলেছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ১৩ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা আর হয়নি। তাই ওটা মিস করলাম, কিন্তু মুশফিকের সেঞ্চুরিটা দেখে ভালো লেগেছে।
এদিকে সাকিবের সেঞ্চুরি মিস হলেও তার সঙ্গে থাকা মুশফিকুর রহিম ঠিকই তুলে নিয়েছিলেন। তার আর সাকিবের বড় ইনিংসের সুবাধেই বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে তিন শতাধিক রানের গণ্ডি অতিক্রম করে। পরে শেষ দিকে আরেক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পায় ৩৬৯ রানের সংগ্রহ। তাই গণমাধ্যমের সামনে সাকিবের পাশাপাশি মুশফিকের প্রশংসা করতেও ভুলেননি বিসিবি বস। বলেন, ‘আমি সব সময় একটা কথাই বলে আসছি যে, আমাদের বেস্ট ব্যাটসম্যান হচ্ছে মুশফিক। মাঝখানে অনেক দিন ধরে রান পাচ্ছিল না। তবে আমি সব সময় বিশ্বাস করতাম, সে রানে ফেরত আসবে। এবং ওডিআইয়ের পর আজকে টেস্টেও সেঞ্চুরি করল। ওর ওপর আমাদের সেই আস্থাটা আছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
এসময় খেলোয়াড়দের বর্তমান মানসিকতা নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখানে বর্তমানে খেলোয়াড়দের সকলেরই পজেটিভ মাইন্ড সেট। আমার কাছে এই জিনিসটাই সব থেকে ভালো লাগছে।
তবে বর্তমানে ছোট দলগুলোর বিপক্ষে লাল বলে দাপট দেখালেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে টাইগাররা উইকেটে এখনো মুখথুবড়ে পড়ে। পাঁচ দিন খেলার মতো এখনো সেই সামর্থ্য যেন হয়েই ওঠেনি বাংলাদেশের। বিষয়টি মেনেও নিলেন বিসিবি বস। বলেন, ‘টেস্ট ফরম্যাটে এখনো আমরা আহামরি কোনো ভালো দল না। আজকের খেলা দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো, তবে গতকালকে মেজাজটাই খারাপ ছিল। এটাই বাস্তবতা, তাই এটাতে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
কিন্তু ভবিষ্যতে এ ফরম্যাটেও ভালো করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা এক বছরের মধ্যে বাকি দুই ফরম্যাটের মতো টেস্টেও ভালো দল হয়ে যাবে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা ভালো দলগুলোর সঙ্গে টেস্ট খেলার সুযোগ পাই না। তবে আগামী ১ বছরে ১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। এক বছরে টানা এতগুলো ম্যাচ খেলা মুখের কথা নয়। কিন্তু আমি মনে করি, এর মধ্যেই আমাদের এ ফরম্যাটে একটি দল বেরিয়ে আসবে।