গতকাল বুধবার (৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয় এমসিসি। বিজ্ঞপ্তিতে তারা লিখেছে, ‘বাংলাদেশের হয়ে প্রভাববিস্তারী বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ১৯ বছরের ক্যারিয়ার উপভোগ করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এদিকে মাশরাফির আগে ২০০৩ সালে এই সম্মান পান সাবেক বিসিবি সভাপতি ও ক্রিকেট সংগঠক সাবের হোসেন চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত করতে গতকাল তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৩ সালে এমসিসির লাইফটাইম মেম্বার হয়েছিলাম’।
সম্মাননা পাওয়ার পর মাশরাফি সামাজিক গণমাধ্যমে লিখেছেন, ‘এমসিসি’র সম্মানসূচক আজীবন সদস্যপদ পাওয়া আমার ক্রিকেট জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তি। মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেভিন পিটারসেন, যুবরাজ সিং, ডেল স্টেইন, রস টেইলর, ইয়ন মরগানের মতো গ্রেটদের সঙ্গে এই তালিকায় থাকতে পারা আনন্দের। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যও এটি স্বীকৃতি। সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী, যেন সামনেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্মান ও মর্যাদা ধরে রাখতে পারি।
এ দফায় শুধু মাশরাফি না, তার সঙ্গে ৮টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মোট ১৭ জন নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্রিকেটে অবদান রাখার জন্য নন-প্লেয়িং ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন আরো দুই জন। বাংলাদেশের মাশরাফি ছাড়া ভারত ও ইংল্যান্ড থেকে পাঁচ জন করে, নিউজিল্যান্ড থেকে দুই জন এবং অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রয়েছেন এক জন করে। এছাড়া ক্রিকেটারের বাইরেও এবার দুজন এমসিসির সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে জেন পাওয়েল গত বছরের শেষে ইসিবির ডিজেবিলিটি পারফরম্যান্স ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।