আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টটা বাংলাদেশ খেলতে নেমেছে তিন পেসার নিয়ে। তবে মিরপুরে টেস্টের প্রথম দিনে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররাই। বিশেষ করে তাইজুল ইসলাম। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশদের প্রথম দিনেই ২১৪ রানে গুঁড়িয়ে দিতে তাইজুল একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এ নিয়ে ইনিংসে ১১তম বারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। এতে টেস্টে তার মোট উইকেট সংখ্যা হলো ১৭১টি।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউনে নিজের অভিষেক টেস্টের অভিষেক ইনিংসেই ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন তাইজুল। সেই থেকে মাত্র ৪১ টেস্টের ৭১ ইনিংসে ১১ বার ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন। এর আগে সর্বশেষ তিনি ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ২০২২ সালের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেন্ট জর্জ পার্কে। টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ১৩৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। এরপর ৯ ইনিংস কেটে গেলেও ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না তাইজুল। এই সময়ে তিনবার ইনিংসে ৪ উইকেট নেন তিনি। অবশেষে আইরিশদের বিপক্ষে কাল সেই খামতি দূর করলেন তাইজুল। কীর্তিটা গড়তে ২৮ ওভার বল করে ৫৮ রান খরচ করতে হয়েছে তাকে।
গতকাল আইরিশদের বিপক্ষে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুলকেই বেশি প্রাধান্য দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাকে দিয়েই বল করিয়েছেন বেশি। বিস্ময়কর হলো, তাইজুল-মেহেদী মিরাজদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে সাকিব নিজে বল করার প্রতি আগ্রহীই ছিলেন না! মোটে তিন ওভার বোলিং করেছেন তিনি। সেটাও আইরিশ ইনিংসের শেষের দিকে।
যাই হোক, নিজেকে গুটিয়ে রেখে সাকিব বেশি আস্থা রাখেন তাইজুলের উপর। বাঁ-হাতি স্পিনার তার প্রতিদানও দিয়েছেন দলকে একের পর এক উইকেট উপহার দিয়ে। তার প্রথম শিকার আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। ৫০ বলে ১৬ রান করা বালবার্নিকে এলবিডব্লু’র ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তাইজুল। এরপর এক এক করে পিটার মুর, কার্টিস ক্যাম্ফার, লরকান টাকার ও মার্ক অ্যাডায়ারকে বিদায় করেন তিনি।
টেস্টে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তাইজুলের চেয়ে বেশিবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন একজনই-সাকিব আল হাসান। তিনি ৬৬ টেস্টের ১১০ ইনিংসে ১৯ বার ৫ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ বার ৫ উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যিনি কাল তাইজুলকে সঙ্গ দিতে গিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেটে।
দিন শেষে তাইজুল শুনিয়েছেন প্রায় অসম্ভব এক স্বপ্নের কথা, ‘মন তো চায় ৫০০-৬০০ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করি।