ভারতে অগ্নিপথ নামে নতুন একটি বাহিনী গঠন করেছে দেশটির সরকার।
সেই বাহিনীতে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সীরা যোগ দিতে পারবেন এবং মাত্র ৪ বছর কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৪ বছর পর অগ্নিপথের এসব সেনাদের মধ্যে ২৫ ভাগকে মূল সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হবে। বাকিদের বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হবে।
মূলত পেনসনের খরচ কমিয়ে আনতে ও সামরিক সরঞ্চাম কেনার জন্য বেশি অর্থ খরচ করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।
কিন্তু বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি ভারতের অনেক তরুণ। তারা অগ্নিপথের বিরুদ্ধে আন্দোলন নামে।
কিছু কিছু জায়গায় এসব আন্দোলন রক্তক্ষয়ী হয়ে ওঠে।
ভারতের গণমাধ্যম নিউজ নাইন দাবি করেছে, এ আন্দোলন উস্কে দিতে কাজ করছে পাকিস্তানের কিছু লোক।
পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আন্দোলন উস্কে দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যম নিউজ নাইন জানিয়েছে, আন্দোলন উস্কে দিতে পাঁচটি টুইটার অ্যাকাউন্ট সবচেয়ে বেশি অ্যাকটিভ ছিল।
ফক্সিয়া৭স্কাই, আইঅ্যামকামরানহাইদার, এমকেজেপিকে, সাজ্জাদ মালিক এবং সাঈদউমরশাহ নামে টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো থেকে অগ্নিপথ নিয়ে সবচেয়ে বেশি পোস্ট করা হয়েছে।
এই প্রোফাইলগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ‘ইমপোরটেড-গভার্মেন্ট-ডিসএপ্রোভড’ হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।
এ হ্যাসট্যাগ থেকে বোঝা গেছে অ্যকাউন্টগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থনকারীদের।
বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময় অ্যাকাউন্টগুলো থেকে যেসব টুইট করা হয়েছে সেগুলো ভারত ও ভারত সরকার বিদ্বেষী।
এই অ্যাকাউন্টগুলোর কয়েকটি একটি টুইট রিটুইট করেছে। সেখানে লেখা ছিল ‘মোদির নিজস্ব লোকেরাই অগ্নিপথের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে এবং ১২টি ট্রেনে আগুন দিয়েছে।’
তাছাড়া এ অ্যাকাউন্টগুলো থেকে আগেও ভারত বিরোধী টুইট করা হয়েছে।