জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ফোনে জানিয়েছেন তার আকুতির কথা। সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতাও চাইলেন। কয়েকটি নামও উল্লেখ করলেন যারা চাইলে শেখ রাসেল থেকে অনুমতি নিয়ে দিতে পারেন বলে জামালের বিশ্বাস। জামালের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার দল শেখ রাসেল তাকে অনুমতিপত্র দিয়েছে কি না, জামাল অকপটে বললেন, ‘ওরা বলছে বাইরে খেলে লাভটা কী। দেশে খেল।’
জামাল বলেন, ‘আমাদের ১০ ম্যাচ বাকি। বসুন্ধরা কিংস অলমোস্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে।’ জামালের কথায় স্পষ্ট অনুমান শেখ রাসেলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শেখ রাসেলের নীতিনির্ধারণী টেবিল হতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে। কিন্তু সেখান থেকে জামাল ভুঁইয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি। জামাল বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যেভাবেই হোক তিনি আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দলে খেলতে চান।
জানা গেছে প্রায় ৯ মাসের জন্য সেখানে যাওয়ার আগ্রহ জামালের। মাসে প্রায় ১৬ লাখ টাকা বেতন। গাড়ি, বাসা সবই দেবে। আর্জেন্টিনার ক্লাবের খেলতে যাওয়ার বিষয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তখন পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দেন তিনি। জামাল জানিয়েছিলেন তার কাছে আর্জেন্টাইন ক্লাবের কোনো আমন্ত্রণ আসেনি।
জামাল বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনার দুতাবাস খুলবে সেখানে বাফুফে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সেখানে গিয়েছিলাম। আর্জেন্টিনার লোকজন আমার সঙ্গে ছবি তুলেছেন।’
পরদিনই আবার যোগাযোগ করা হলে জামাল বলেন,‘আমন্ত্রণ পেয়েছি।’ ২৪ ঘণ্টা না যেতে সুর পালটে ফেলেন জামাল। অযথাই লুকোচুরি করেন। গতকাল পুনরায় জামাল ভুঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এবার তিনি পরিষ্কার করে বলেন, ‘একটা হেলপ লাগবে। … এবং ইমরুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে আমার ক্লিয়ারেন্সটা আনা যায় কি না। আর্জেন্টিনার লোকজন ঢাকায়। ওরা আমাকে নেওয়ার ব্যপারে উদগ্রীব। কন্ট্রাক্ট রেডি। আমার স্বাক্ষরটাই বাকি। রিলিজ লেটার লাগবে। তা না হলে আমি যেতে পারব না।’
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফোনে সাড়া পাওয়া যায়নি। সালেহ জামান সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,‘আমি যতদূর জানি অনুমতি দেবে না। আমি জামালের জন্য চেষ্টা করেছি। আমি তো সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক না। এখন এটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়।’