গত সপ্তাহে দেশের শেয়ার বাজারে মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন হয়েছে। কমেছে লেনদেনও। গত সপ্তাহে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া, ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের পাশাপাশি এই বাজারে লেনদেনও কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৫৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ হিসেবে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে লেনদেন কমেছে ২৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
দেশের প্রধান এই শেয়ার বাজারে বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অর্থাত্ আলোচ্য সময়ে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৯৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। গত সপ্তাহ জুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মোট ৩৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ৯৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৪টির দর। সপ্তাহ জুড়ে টাকার অঙ্কে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো: ফু-ওয়াং ফুড, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৬৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেনের কারণে আগের সপ্তাহে সিএসইতে বড় ধরনের লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বিদায়ী সপ্তাহে এই বাজারে মোট ২৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ৭৫টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৯টির দর।