নতুন জায়গায় নতুন চ্যালেঞ্জের সন্ধানে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করেছেন নেইমার। দুই বছরের চুক্তিতে তিনি পিএসজি ছেড়ে সৌদি পেশাদার লিগে নাম লিখিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের আলোচিত লিগে আরও একটি বড় নাম যুক্ত হলো। ৩১ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ছয় বছর ছিলেন প্যারিসের রাজধানীতে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা ও সাদিও মানের পথ অনুসরণ করে শেষ পর্যন্ত ইউরোপ ছেড়ে তিনিও মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমালেন।
সৌদি পেশাদার লিগের এক বিবৃততে এ সম্পর্কে নেইমার বলেছেন, ‘আমি ইউরোপে অনেক কিছু অর্জন করেছি, বিশেষ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কিন্তু আমি সবসময়ই সারা বিশ্বের খেলোয়াড় হতে চেয়েছি এবং নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন জায়গায় সুযোগের মাধ্যমে নিজেকে পরীক্ষা করতে চেয়েছি। আমি ফুটবলে নতুন একটি ইতিহাস লিখতে চাই। এই মুহূর্তে সৌদি পেশাদার লিগ দারুণভাবে খেলোয়াড়দের আকর্ষণ করছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আল-হিলাল অনেক বড় একটি ক্লাব, এখানকার সমর্থকরাও চমৎকার। এটা এশিয়ার সেরা ক্লাব। আর এটাই সঠিক সময় আমাকে সঠিক ক্লাব বেছে নিতে সহায়তা করেছে। আমি জিততে ও গোল করতে ভালবাসি। আর এটাই আমি সৌদি আরবের আল-হিলালেও করে যেতে চাই।’
২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। এর কয়েক সপ্তাহ আগে পিএসজি ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে ভিড়িয়েছিল। পিএসজির জার্সি গায়ে নেইমার ৭৩ ম্যাচে ১১৮ গোল করেছেন, পাঁচটি লিগ শিরোপা, তিনটি ফরাসি কাপ জয় করেছেন। কিন্তু একের পর এক ইনজুরি পিএসজিতে তাকে খুব একটা স্বস্তি দেয়নি। তারপরও ২০২০ সালে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার পিছনে নেইমারের অবদান ছিল। যদিও ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল প্যারিসের জায়ান্টরা।
মার্চের শুরুতে নেইমারের ডান গোঁড়ালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। পিএসজির প্রাক-মৌসুম এশিয়া সফরে তিনি পুনরায় দলে ফিরেছিলেন। যদিও নতুন কোচ লুইস এনরিকের পরিকল্পনায় নেইমার ছিলেন না বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আর এ কারণেই আল-হিলালের সাথে চুক্তির বিষয়টি তরান্বিত হয়। সৌদি ক্লাবের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবী ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে আল-হিলালের সাথে নেইমারের চুক্তি হয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্য পিএসজির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
পিএসজির সভাপতি নাসের আল-খেলাইফি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নেইমারের মত দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়কে বিদায় বলাটা সত্যিই কঠিন। সে বিশে^র অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়। তার পিএসজিতে আসার দিনটি আমি কখনই ভুলবো না। গত ছয় বছরে ক্লাবের অগ্রগতিতে তার অসাধারণ অবদান আছে। আমাদের ইতিহাসের অন্যতম একটি বড় অংশ হয়ে নেইমার সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি।’