মৃত্যুর চার বছর পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রবার্ট মাইরন বার্কারের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা হয়েছে। জটিলতার কারণে ২০১৮ সাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ছিল তাঁর লাশ। শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে তাঁর লাশ হস্তান্তর করে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া জানান, রবার্ট যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় তাঁর বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা বেগম স্বামীর লাশ দাফনের অনুমতি পাননি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাঁর স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এতদিন সাড়া মেলেনি। এ ব্যাপারে মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করে কোনো সুরাহা করতে পারেননি মাজেদা। অবশেষে মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, তাঁরা লাশ সে দেশে নিয়ে যেতে রাজি নন। ফলে মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশেই তাঁর লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে তাঁর লাশ গাজীপুরের একটি গির্জায় নেওয়া হয়। সেখানে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। মাজেদা বেগম জানান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত রবার্টের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল খ্রিষ্ট ধর্মমতে তাঁর বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা দক্ষিণখানের একটি বাসায় থাকতেন। ২০১৮ সালের ১৫ মে রবার্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণখানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১০ দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি জানান, দুস্থ-অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতেন রবার্ট। তেমনই এক নারীকে চিকিৎসা করাতে তিনি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে আয়ার কাজ করতেন মাজেদা। সেখানে দু’জনের পরিচয় হয় এবং সম্পর্ক গড়ে ওঠে।