ঢাকা থেকে বলার দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকাকে একীভূত করে নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ছবিটি সরিয়েছে ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাই কমিশন।
রবিবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হাই কমিশনের ফেসবুক পেইজের কভারে শুধু দেশটির জাতীয় পতাকার ছবি দেখা গেছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায়ও বিকৃত ওই পতাকার ছবিটি ছিল।
গত ২১ জুলাই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা জুড়ে ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করে ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশন। এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পতাকাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ছবিটির বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর শনিবার বিকাল ৫টায় ছবিটি নামিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হাই কমিশনের ফেসবুক পেজের ‘কাভার ফটো’তে ছবিটি দেখা যায়।
এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, এটি পাকিস্তান দূতাবাসের ধৃষ্টতা। তারা এখনও একাত্তরের পরাজয় ভুলতে পারেনি। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটাক্ষ করে। তারা মাঝে মধ্যে বিকৃত পরীক্ষা চালিয়ে দেখে বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবাদ করে কি না। কেবল ছবি নামালেই হবে না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত, তাদের ডেকে শক্ত প্রতিবাদ জানানো।
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
তাদের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও গণধর্ষণে জড়িত ছিল পাকিস্তান। ঢাকায় তাদের হাই কমিশন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে, যা বাংলাদেশের পতাকাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।