মানবতা বিরোধী অপরাধী, জাতির পিতার হত্যাকারী ও জঙ্গিদের যেভাবে বিচার হয়েছে, ঠিক একইভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের দোষর ইউনুস ও তার সহযোগীদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। এমন্তব্য বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার। ৮ডিসেম্বর ২০২৪ রোববার পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্ট হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ আয়োজিত‘‘ অবৈধ অসাংবিধানিক রাষ্ট্রক্ষমতা জবরদখলকারীদের পদত্যাগ-মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার-অবিলম্ভে সকল গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে “ আয়োজিত জনসভায় ভ্যার্চুয়্যালী যুক্ত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি বলেন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুস ও তার দোষরদের পরিকল্পনা ছিল ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে একটি উগ্রবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে। ঠিক সেই সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা মাফিক সে তার মাষ্টার মাইন্ডরা এবং স্বাধীরতা বিরোধী গোষ্টী বাংলাশেকে শ্মসানে পরিণত করেছে। তার যে ক্ষমতা দখল করার পরিকল্পনা ছিল সেটি সকলের কাছে পরিস্কার হয়েছে আমেরিকায় তার মাষ্টারমাইন্ডদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। আমি তো রক্তপাত চাইনি, যতদিন যাচ্ছে সকলের সামনে তাদের পরিকল্পনা পরিস্কার হচ্ছে। আবুসাইদ থেকে শুরু করে পুলিশ-আনসার সহ দেশের সাধারন মানুষকে হত্যা করেছে। এর পর থেকে শুরু হয়েছে দেশে অরাজকতা, নেই আইনের শাসন নেই ন্যায় বিচার। এরা কিচায় তা জাতির সামনে পরিস্কার। দেশব্যাপী চলছে লুটপাট, অন্যায় অত্যাচার, ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী-ও হলি আর্টিজেনে হামলাকারী দুদর্ষ জঙ্গিদের কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছে। অন্য দিকে সাধানরন মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মি সাংবাদিক সুশিল সকলকে নির্বিচারে প্রতিদিন গ্রেফতার করা হচ্ছে নিরপরাধ মানুষদের। দেশ ব্যাপী চলছে অরাজকতা, হিন্দু খৃষ্টান সহ মাইনরিরিটদের বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্টানে অগ্নি সংযোগ, তাদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি সাধু, দরবেশ পীর আউলিয়ার মাজার, মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্টান।
সাধূ চিম্ময়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার পক্ষে কোন আইনজীবিকে আদালতে দাড়াতে দেয়া হয়নি। নেই আইনের শাসন ইউনুস তো ছিল সাজাপ্রাপ্ত আসামী তার পরেও তাকে বেইল দিয়েছে আদালত। এখন দেশের ম্যাজিস্ট্রেট কোট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট চলে মাষ্টার মাইন্ডদের নির্দেশে। সাংবাদিকদের এক্রেডিয়েশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে সকলকে জোরপূর্ব পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এই দেশ চলছে মাষ্টার মাইন্ডদের ইচ্ছে মাফিক। আমাদের করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধীদের আইনজীবি ছিল তাদের করা হয়েছে এই ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর। সংবিধান লংঘন করে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা জেলাপরিসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর দেয়া হচ্ছে মিথ্যা মামলা।
গতকাল ৭ ডিসেম্বর মৌলবীবাজারের একজন যুবলীগ নেতার বাড়ীতে আগুনু দেয়া হয়েছে। তাকে নাপেয়ে অগুনে পড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে তার বৃদ্ধ মা ও চাচীকে।দেশে বিচার নেই নেই আইনের শাসসন। দেশে নেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সাংবাদিকরা লিখতে পারেনা। কথা বলতে পারেনা টেলিভিশনে। আমি তো সবকিছুই অবাদ করে দিয়েছিলাম। সংবাদপত্র ও টিভিতে সমন্বয়করা হুমকি দিয়ে-বলে এসব লিখতে পারবেনা, এভাবে বলতে পারবেনা। ইউনুস তো ক্লিংটন ফাউন্ডেশনে জনগণের টাকা পাচার করে চাঁদা দিয়েছিল। এর হিসেবও একদিন বের হবে। সময় আসছে।
সমন্বয়ক ও ইউনুসরা বলছে মেঘাপ্রজেক্টের নামে নাকি অর্থ পাচার হয়েছে। পারলে তা বের করুক। দেশে প্রতিদিনই দেয়া হচ্ছে মিথ্যা মামলা। আমার উপরও দুইশতাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটিই খুনের মামলা। সময় আসছে কারা খুন করেছে সবই বের হবে। দেশে দ্রব্য মুলেরে উর্ধগতি। সবকিছু চলে গেছে সাধারন মানুষের ক্ষয় ক্ষমতার বাইরে। আমি ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫২টি জেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ও ভিখারী মুক্ত করেছিলাম। আমি চালু করেছিলাম, বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, সবকিছু বন্ধ করেদিয়েছে। দরিদ্রদের বৃত্তি সব বন্ধ। এরা বঙ্গবন্ধু ভবন , সংসদ ভাবন, সব কিচূ লুটপাট করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এই লুটপাটে ইউনুস ও তার সমন্বয়করা জড়িত। এমপি হোষ্টেলে আগুন লুটপাট, মেট্ররেলে আগুন সব কিছুই করেছে সমন্বয়রা। একজন সমন্বয়ক স্বীকার করেছে মেট্ররেলে আগুন নাদিলে পুলিশকে হত্যা না করলে তাদের আন্দোলন সফল হতোনা। সকল সরকারী ছুটি বাতিল করেছে। সব কিছুরই বিচার হবে।
ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে সকাল থেকেই মুনুষ আসতে শুরু করে। হলে তিল ধারনের ঠাই ছিলনা। নানান বয়সী কয়েক হাজার মানুষের ভীরে হল ভরে যায় অনেককেই বসার জায়গা না পেয়ে দাড়াতে হয়েছে বাইরে। তার পরেও কেউ বিরক্ত হয়নি। সকলের কান ছিল শেখ হাসিনা কি বলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীদের সভাপতি সুলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে কোরআন তেলাওত করেন জিলু খান জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী শখিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সহ যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ।