দেশের শোবিজ পাড়ায় বেশ পরিচিত মুখ হলেও দর্শকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নন তিনি। হুট করে সাধারণ মানুষ তাকে চিনতে পারেন আলোচিত নায়িকা পরীমণির স্বামী হিসেবে। এরপরই তাকে নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেন অনেকেই । দর্শকরা তখন জানতে পারেন তিনিই ‘ন ডরাই’ ছবির নায়ক ও ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্মের অভিনেতা। নাম শরীফুল রাজ। যিনি এখন নিজেকে অভিনেতা পরিচয়ের পাশাপাশি পরীমণির স্বামী হিসেবেও বেশ পরিচিত।
এই রাজ অভিনীত ‘পরাণ’ ছবিটি এবার মুক্তি পাচ্ছে আসন্ন ঈদুল আজহায়। এ ছবির দুটি গান ও টিজার প্রকাশের পর নতুন করে দর্শকের নজরে এসেছেন শরিফুল রাজ। এমনটি সেন্সরবোর্ড সদস্যরাও ছবিটি দেখার পর রাজের অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিষয়টি জানতেই রাজ বোর্ড সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, ‘সিনেমায় আসার পর সর্বদা ভালো অভিনয় করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। এখনও করছি। সেন্সবোর্ডের সদস্যরা ছবিটি দেখার পর আমার প্রশংসা করেছেন। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। তবে এই ছবির প্রত্যেকেই দারুণ অভিনয় করেছেন। দর্শক ছবিটি দেখার পরই সেটা বুঝতে পারবেন।’
বুধবার ‘পরাণ’ ছবির পরিচালক রাফির নিকেতনের অফিসে সন্ধ্যায় কথা হয় ‘ন ডরাই’ ছবির এই অভিনেতার সঙ্গে। সমকালকে সে সময় রাজ বলেন, পরাণ হুট করে জ্বলে উঠে নিভে যাওয়ার মতো ছবি না। এই ছবি ধীরে ধীরে দর্শকদের ভালোবাসা আদায় করবে। দর্শকরাই হবে ছবিটির বড় প্রচারক।
রাজের সঙ্গে আড্ডার সময়ে বাইরে ছিলো আষাঢ়ে বৃষ্টি। বৃষ্টিমূখর সেই সন্ধ্যায় রাজ কোথায় আছেন তা জানতে ফোন করছিলেন পরীমণি। কল রিসিভ করে রাজ জানালেন তার অবস্থান। ফোন রেখে এরপর রাজ বললেন, ‘ও যতটা ভালো অভিনেত্রী তার চেয়ে বেশি ভালো স্ত্রী। এখন তো ওর পাশে আমার সব সময় থাকা উচিত। জানেনই তো আমরা বাবা-মা হচ্ছি।’
রাজ-পরী যে বাবা-মা হচ্ছেন এটা দেশের প্রায় সবাই অবগত। তবে কবে নাগাদ নতুন অতিথি আসছে তাদের ঘরে। রাজ জানালেন, সেপ্টেম্বরের দিকে।
পরী ফোন দেওয়াতে রাজের সঙ্গে আড্ডার বিষয় ঘুরে গেলো যেনো। পরাণ ছেড়ে কথা যখন চলে গেলো রাজ-পরীর সংসারে। রাজকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, অভিনেতা হিসেবে তো আপনার পরিচয় আছে কিন্তু এখন পরীমণির স্বামী হিসেবেই আপনাকে বেশি চিনছে। বিষয়টি আপনি কিভাবে নিচ্ছেন?
রাজের সহজ উত্তর, অভিনয় এবং পরীমণির স্বামী দুই পরিচয়ই আমার ভালো লাগে। পরীমণি অবশ্যই তেমন মানুষ বলেই ওর স্বামী হিসেবে আমাকেও চিনছে। তবে একটা কথা বলি,পরীমণি অসাধারণ একজন মানুষ। ওর ভেতরে অসাধারণ একজন ভালো মানুষ বসবসা করে। খুব ভালোবাসে আমাকে। আমিও….।
সন্তান ছেলে না মেয়ে সে বিষয়ে ভাবনা নেই পরী-রাজের। তারা বাবা-মা হচ্ছেন এই আনন্দেই তাদের দিন পার হচ্ছে বলে জানালেন।
তবে সংসার করার পাশাপাশি রাজের ব্যস্ততা এখন নতুন নতুন প্রজেক্টের স্ক্রিপ্ট পড়ে পড়ে। বললেন প্রতি মাসেই ডজন খানেক স্ক্রিপ্ট পড়া হয়। তবে যে সব গল্প এখন আসে সেসব গল্পে তার খুব একটা অভিনয় হয়ে উঠে না। কারণ গল্পে ভিন্নতা চান রাজ। তিনি বলেন, একজন শিল্পী হিসেবে আমার কাজের ক্ষুধা প্রচুর। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজের জন্য মুখিয়ে থাকি। নতুন কোনো ছবি এলে আগে দেখি গল্প ও চরিত্র কী!
সব শেষে রাজ পরাণ ছবিটি দেখার জন্য আহ্বান জানালেন সবাইকে। বললেন, আমি বড় বড় কথা বল দর্শকদের হলে আসতে বলবো না। শুধু বলবো অন্য ছবি দেখার সঙ্গে পরাণটা দেখুন। দেখবেন আপনিও তৃপ্টি নিয়ে হল থেকে বের হবেন।