তার চোখে দেশের ফুটবলে উন্নতি হচ্ছে না। এভাবে বাফুফের সদস্য হয়ে বোর্ডে থেকে কী লাভ? তাই সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আরিফ হোসেন মুন। কাজী সালাহউদ্দিনের বিপক্ষ প্যানেল থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ ভোট পেয়ে বাফুফের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার চোখে ফুটবলের উন্নতি হচ্ছে না।
মুন বলেন, ‘গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের হাতে পদত্যাগপত্র দিয়েছি। পদত্যাগের কারণ বলা হয়েছে ব্যক্তিগত। কেন ব্যক্তিগত কারণ দেখালেন? সমস্যার কথা উল্লেখ করতে চান না মুন।
তিনি বলছেন, ‘স্পেসিফিক কিছু লিখিনি। সবাই যা ভাবে আমারও তাই ভাবনা। আমাদেরকে জবাব দিতে হয়। যারা এসি গাড়িতে চলে তাদেরকে সাধারণ মানুষের মুখোমুখি হতে হয় না। ফুটবল হচ্ছে এখন এমপি হওয়ার জায়গা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার জায়গা। এত কথা লিখে কী লাভ? যেখানে আমাকে দিয়ে কিছু হচ্ছে না, থাকব কেন। সমস্যা নিয়ে অনেক বার বলেছি। কেউ আমার সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলে, আবার কেউ বলে না। এখানে থেকে লাভ কী।
মুন বলেন, ‘গত এক বছর আমি বাফুফের মিটিংয়ে যাই না। গত এজিএমেও যাইনি।’ নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মুন এবং জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
’৯৩ সালে ঢাকা সাফ গেমস ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন মুন। ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছেন এই স্টপার। ফুটবল ছেড়ে নিজ এলাকায় চলে গিয়েছিলেন। বাফুফের নির্বাচনে এসে তিন টার্ম ছিলেন বোর্ডে। মুন মনে করছেন সবাই ফুটবলের জন্য কাজ করছেন না। তৃণমূলের ফুটবল নিয়ে কাজ করার অনেক জায়গা থাকলেও সেটি সঠিক পরিচর্যা পাচ্ছে না। বাফুফে সভাপতি সব কমিটির কাছ থেকে জবাবদিহিতা নিতে পারেন। কেন ন্যাশনাল টিম ম্যানেজম্যান্ট কমিটি জাতীয় দলকে সাফল্য দিতে পারছে না।
মুন বলেন, ‘তিন জাতির খেলা হবে সিলেটে। কেন বাংলাদেশকে সৌদি আরবে গিয়ে অনুশীলন করতে হবে। এখানে যে খরচ সেটা অন্য কাজেও লাগানো যায়। যেখানে বলা হয় টাকা নেই, টাকা নেই। তাহলে কেন শতকোটি টাকা খরচ করে আর্জেন্টিনাকে আনতে হবে। বাফুফের পকেট থেকে দিতে হবে না। মানুষ তো সেটা বুঝবে না।
মুন বলেন, ‘সালাহউদ্দিন ভাই আমাদের পথিকৃৎ। উনাকে দেখে আমরা ফুটবলার। আমার কোচ ছিলেন। উনার চেয়ে ফুটবল আর কে ভালো বুঝবে। আসলে কী সালাহউদ্দিন ভাই চায় সবকিছুই হোক। কিন্তু কেন জানি, উনি একটা গণ্ডির মধ্যে আটকে যান। প্রধানমন্ত্রী উনাকে ভাইয়ের মতো ভালোবাসেন। আমাদের ব্যর্থতা আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কাজে লাগাতে পারলাম না।