করোনা-পরবর্তী প্রথম বিদেশ সফর থেকে ফেরার ১১ দিন পর প্রথমবার জনসমক্ষে দেখা গেছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার মাস্ক পরা অবস্থায় বেইজিংয়ের একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেছেন জিনপিং। অভ্যুত্থান ও গৃহবন্দি থাকা নিয়ে কয়েকদিনের গুজবের পর জনসমক্ষে দেখা গেল তাঁকে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অন্য ছয় শীর্ষ নেতাকেও জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা গেছে গত মঙ্গলবারের প্রদর্শনীতে।
জিনপিংয়ের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জের মুখে, এমন কথা ছড়িয়ে পড়ার পর এই দৃশ্যকে ‘ঐক্যের লক্ষণ’ বলছেন পর্যবেক্ষকরা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কভিডের পর প্রথম বিদেশ সফরে মধ্য এশিয়ায় যান জিনপিং। এরপর বেইজিংয়ে ফেরেন ১৬ সেপ্টেম্বর। তার পর থেকে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এর মাঝে গুজব ওঠে, জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে, গৃহবন্দি হয়েছেন তিনি। তবে কোনো গুঞ্জনের সত্যতা জানা যায়নি।
চীনের প্রেসিডেন্ট পদে দুই মেয়াদের বেশি থাকতে না পারার বিধান ২০১৮ সালে বাতিল করেন জিনপিং। তখন থেকেই ধারণা করা যাচ্ছিল তৃতীয় মেয়াদেও ক্ষমতায় বসতে চাইছেন তিনি। আগামী মাসেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় সভা। তার আগেই গুজব ওঠে জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের। সেই গুজব উড়িয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গেলজিনপিংকে।
গুজব আর চিনপিংয়ের লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার সময়সীমা বিচার করে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের কভিড প্রটোকল অনুযায়ী বিদেশ থেকে ফেরার পর সাত দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন, এরপর তিন দিন বাসায় আইসোলেশনে থাকতে হবে। জিনপিংকেও ঠিক এমন সময়সীমায় প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তিনি দেশের ‘শূন্য কভিডনীতি’ মেনে চলার প্রমাণ রেখেছেন।
সর্বশেষ জুলাইয়ে হংকং সফর শেষেও দুই সপ্তাহ জিনপিংয়ের দেখা মেলেনি। কভিড ইস্যুতে মধ্য এশিয়া সফরে অন্য দেশের নেতাদের চেয়ে বেশি সতর্ক দেখা গেছে জিনপিংকে। অনেক বৈঠকে তিনি মাস্ক পরে অংশ নেন। উজবেকিস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে একটি মাস্কবিহীন নৈশ ভোজও এড়িয়ে যান তিনি।