সুখদের একা যাপন করা গেলেও পৃথিবীর কোন আনন্দ একার অঙ্গে রচিত হয়না; আনন্দ রচিত হয় সকলে মিলে। প্রতি বছর সেন্ট্রাল ফ্লোরিডায় এশীয় আমেরিকান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আয়োজিত এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল এই অনন্য আনন্দ মিলনেরই অন্য নাম- Asian Food Music & Cultural Festival.
এশিয়ার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সুরেলা সমাহার এই উৎসব। এই ইভেন্টটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র এশীয় আমেরিকান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম সমাবেশ। একই স্টেজে বাংলাদেশ, জাপান, চায়না, ইন্দোনেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, সাউথ আমেরিকা ইন্ডিয়া সহ আরও কিছু দেশ, সকলে মিলেই রাঙিয়ে তোলে সংস্কৃতির বাগান। নাচ, গান আর বিবিধ উদযাপনে দুটা দিন কাটে নয়নাভিরাম!
সঙ্গে যুক্ত হয় দেশীয় পোশাক, শাড়ি, জামা, কাপড়, গহনা। ঐতিহ্যবাহী পিঠা, মুখরোচক খাবার- রন্ধন শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তারা। আর এই কাজগুলো কাঠের পরিশ্রমে অক্লান্ত সময় ব্যয় করে আয়োজন করেন অনুষ্ঠানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত Asian food music and cultural committee. বলায় বাহুল্য, বিভিন্ন সংস্কৃতির বিন্যাসে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নিয়মাবলীর মাধ্যমে একটা অনুষ্ঠান সফলভাবে পরিচালনা এবং সমাপ্ত করা কতটা কষ্টসাধ্য কাজ।
এভাবেই বিভিন্ন মহাদেশের সংস্কৃতিগুলি একটি অপূর্ব সুরের গুঞ্জনের মতন বাজে মনের ভেতরে। এভাবেই মিলেমিশে মানবতার সর্বজনীন সুরের সাথে মিশে যায় জীবন এবং তার আনন্দ!
আর সেই আনন্দে আমি অংশ নিয়েছিলাম- আনন্দধারা’র একজন সদস্য হয়ে। আনন্দধারা ফ্লোরিডার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রতি মাসে এই সংগঠনের সুহৃদরা একত্র হয় গানের গগনে! প্রতি মিনিটে ঘড়ির কাঁটা মেনে চলা এই অভিবাসী জীবনে এই সময়টা ম্যানেজ করার জন্য কতটা আন্তরিকতা আর বিসর্জন লাগে- তা সুবিবেচক মাত্রই জানে! জানে আরো তারা, যারা পারেনা দিতে এই সময়ের সঙ্গে সাড়া! তবু কিছুদিন থাকে, এইসকল সু’উদ্যোগের জানালা দিয়ে বাতাস আসে। বলে যায়- চলো যাই!
আনন্দধারা বহিছে ভুবনে..