এক হারে যেন খাদের কিনারায় পড়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাটিতে প্রতিবেশীদের কাছে ১১ বছর অপরাজিত থাকার পর সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচে ৮৯ রানে হারে তারা। বড় ব্যবধানের এই হার তাদের সেমিফাইনালের ওঠার পথটা আরো জটিল করে দিয়েছে। জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে পার্থে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে স্বাগতিকরা।
লঙ্কানরা অবশ্য বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে। হোবার্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় ৯ উইকেটে। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন কুশল মেন্ডিস। স্পিনাররা নিজেদের কাজটা বরাবরের মতোই করে যাচ্ছেন সুনিপুণ। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেসাররাও হতাশ। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ এক প্যাকেজ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম রাউন্ডে নামিবিয়ার কাছে হারের পর নড়বড়ে আত্মবিশ্বাসটা এখন অনেকটাই পোক্ত। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তেমনটাই বললেন স্পিনার মাহিশ থিকশানা, ‘অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে আছি আমরা এবং আশা করি কালকের ম্যাচে সেটা প্রতিফলন করতে পারব। তারা গত আসরের চ্যাম্পিয়ন, টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে তাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। জানি তাদের খুব ভালো পেস আক্রমণ আছে, তবে আমাদেরও খুব ভালো ব্যাটিং লাইনআপ আছে। আশা করি, ১৬০-১৭০ রানের চেয়ে বেশি করব আমরা।’
পার্থের উইকেট যদিও খুব একটা স্পিন বান্ধব নয়। তাই ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও থিকশানাকেই খুব একটা চিন্তিত নয় অজিরা। মিচেল মার্শ বলেন, ‘আশা করি পার্থে স্পিন বড় পার্থক্য তৈরি করবে না এবং আমরা অবশ্যই তাদের (লঙ্কান স্পিনার) ওপর চড়াও হতে পারি। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে স্পিন খুব ভালো খেলি আমরা।’ টি-২০ বিশ্বকাপের কোনো আসরেই স্বাগতিকরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। অজিদের ভাগ্যেও কী একই লিখন? গ্রুপ অব ডেথে আজ হারলেই শেষ চারের দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে যাবে তারা। সেই ভাবনা মাথায় আছে মার্শেরও, ‘আমাদের হাতে আসলে কোনো বিকল্প নেই। টুর্নামেন্টের ধরণটাই এরকম যে, এক ম্যাচ হেরে গেলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে এবং জানি আমাদের সামনে কী আছে। দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকাটা খুবই জরুরি।’
আজকের খেলা : অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা, বিকাল ৫টা, পার্থ