শান্তিরক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি এবং সমরাস্ত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তাই সামরিক খাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে অস্ত্র কিনতে ঋণ দিতে আগ্রহী দেশটি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানিয়েছেন মার্কিন রাজনৈতিক ও সামরিক উপসহকারী সেক্রেটারি ডোনা এ ওয়েলটন। তবে চাহিদা ও লক্ষ্য নির্ধারণে প্রাধান্য দেয়া হবে বাংলাদেশের প্রয়োজনকেই।
শান্তি রক্ষার পাশপাশি আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাবের কথাও জানালেন ডোনা এ ওয়েলটন। বললেন, প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন সামরিক খাতে অনন্য উপকরণ। আমরা বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে চাই। জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ যেভাবে প্রশংসিত, তাতে আমার মনে হয়, তাদের এই বিষয়গুলোতে আরও নজর দেয়া দরকার।
ডোনা এ ওয়েলটন আরও বলেন, আপনি জানেন এই মুহূর্তে পুরো বিশ্বই প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি অন্যতম কার্যক্রম। আধুনিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, সেটিকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের সরকার ঋণ দিতে আগ্রহী।
তবে সহযোগিতার আরেক ধাপে জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তিতে কীভাবে লাভবান হবে ঢাকা, সে কথাও জানান মার্কিন এই প্রতিনিধি।
ডোনা এ ওয়েলটন বলেন, জিসোমিয়া-আকসা চুক্তি দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সহায়তা সম্পর্কিত। আমার মনে হয়, এই চুক্তি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ সামরিক খাতেও উপকৃত হবে। দুই দেশের প্রতিরক্ষা খাত সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।