ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খানের আহ্বান বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিনি একচোখা নীতি নিয়ে কি বললেন সেটি গুরুত্বহীন।
তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘের আশিজন র্যাপোর্টিয়ারের মধ্যে একজন আইরিন খান যিনি আগে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিলেন, দেশে বিএনপি-জামাতের পেট্রল বোমায় মানুষ হত্যার সময় নিশ্চুপ ছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করার সময় বিবৃতি দেন নাই, তিনি একচোখা নীতি নিয়ে কি বললেন সেটি গুরুত্বহীন।’
তথ্যমন্ত্রী রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী এ সময় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণটি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সারাদেশময় এবং সারাপৃথিবীময় সব মানুষের কাছে উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়াতে দেশ ও বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত বাঙালি, বাংলাদেশিরা আনন্দিত হলেও বিএনপি নেতারা খুশি হতে পারেনি এবং অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়ে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করেছিল।’
জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খানের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই আইন সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এবং অনেক সাংবাদিকও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আশ্রয় নিয়ে মামলা করেছেন এবং ফল পেয়েছেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেখতে হবে যাতে এই আইনের কোনো অপপ্রয়োগ না হয়। শুধু সাংবাদিক নয়, কেউই যেন অহেতুক নিগৃহীত বা হয়রানি না হয় সেটি নিশ্চিত করা অবশ্যই প্রয়োজন। সেটির সাথে আমি শতভাগ একমত। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার নজরে এলে আমি নিজে থেকে প্রোঅ্যাকটিভলি সমাধান করার চেষ্টা করি। এবং এখন আর আগের মতো কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা যায় না, সে জন্য অনুমতিরও প্রয়োজন হয়।’
ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, আইরিন খান যে দেশের বাসিন্দা, সেই ব্রিটেনে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে একটি-দু’টি নয়, কমপক্ষে আটটি আইন রয়েছে। ব্রিটেনের ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০১৮, কমিউনিকেশনস অ্যাক্ট ২০০৩, প্রাইভেসি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনস রেগুলেন্স ২০০৩, নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম রেগুলেসন্স ২০১৮, রেগুলেসন্স অব ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ারস অ্যাক্ট ২০০০, কমিউটার মিসইউজ অ্যাক্ট ১৯৯০, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯৮৯, ম্যালিশিয়াস কমিউনিকেশনস অ্যাক্ট ১৯৮৮ এর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় সেগুলো ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর এমনকি অস্ট্রেলিয়ার আইনেও রয়েছে।
