বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,নির্যাতন-নিপীড়ন ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং গ্রেফতার করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।আওয়ামী সরকারের বিদায় নেয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন,মধ্যরাতের ভোটের সরকারের দুঃশাসনে এখন মানুষের জানমালের ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকও নেই।ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরার সামান্যতম গ্যারান্টি নেই।চারদিকে গুম,খুন,অপহরণ,হামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে দেশবাসী সর্বদা আতঙ্কিত।
তিনি বলেন,বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্থাৎ সভা,সমাবেশ ও মিছিল করার সংবিধান স্বীকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়াবহতায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বাক কমিটির সদস্য ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও আহত করা এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকালে কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সংসদের খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম গোলাম কবির, কৃষকদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো: আল আমিন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার জাহান সেন্টুসহ একই জেলার আরো ১০ জনকে গ্রেফতারের ঘটনা আওয়ামী সরকারের নিষ্ঠুর শাসনেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।কিন্তু এভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতার করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।আওয়ামী সরকারের বিদায় নেয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।তিনি গ্রেফতার কৃষকদল নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।