ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা ও বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে মন্তব্য করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপি বলেছে, দলের স্থায়ী কমিটি মনে করে- ‘দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ ব্যাহত হচ্ছে। এরমধ্যে ইউরিয়া সারের দাম বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’
তাই অবিলম্বে ইউরিয়া সারের মূল্য আগের দামে রাখার দাবি জানায় বিএনপি।
মঙ্গলবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের স্থায়ী কমিটির এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচিতে রোববার ভোলায় পুলিশের অতর্কিত হামলা ও গুলিবর্ষণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম মারা যান। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ, ভোলা জেলার সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম, নজরুল ইসলাম, স্বেচ্চাসেবক দলের মুনীরসহ প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করা হয়।’
এতে বলা হয়, ‘সমাবেশ ও মিছিল করা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ একদিকে সংবিধান এবং অন্যদিকে হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।সভায় ভোলা জেলার সভাপতিসহ ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে সভায় আব্দুর রহিমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। আহতদের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভা মনে করে- দুঃশাসন, দুর্নীতির কারণে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশ দ্বারা হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। যখন সরকারের দুঃশাসন দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানির অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠেছে, তখনই সরকারের ঘৃণিত খুনির চেহারা প্রকট হয়ে উঠছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভায় সব দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষকে এবং রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অনির্বাচিত, কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সরকারকে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানানো হয়। চলমান আন্দোলনকে আরও জনসম্পৃক্ত ও বেগবান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
গতকালের (সোমবার) স্থায়ী কমিটির সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান।