যে ভাবেই হোক জিততে হবে- এই মানসিকতা থেকে অন্যায় করে বসেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। বছর পাঁচেক আগে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় হয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তখনকার অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নারের নির্দেশে বল টেম্পারিং করেছিলেন ক্যামরন বেনক্রফট। প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে স্টিভ স্মিথ এবং সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছর নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
অনেকের কাছে এটা লঘু পাপে গুরুদণ্ড মনে হয়েছে। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাই সাজা কমেনি। এক বছর নিষেধাজ্ঞা ভোগ করে স্মিথ-ওয়ার্নার জাতীয় দলে ফিরেছেন। নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন। কিন্তু ওয়ার্নার কি নিষেধাজ্ঞা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়েছেন? কারণ তৎকালীন দলের অধিনায়ক স্মিথকে ২ বছরের জন্য অধিনায়কত্ব থেকে নিষিদ্ধ করা হলেও ওয়ার্নারকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। সেই আজীবন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি চান বিধ্বংসী এই ওপেনার।
এক ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাতকারে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘আমাকে এখনও এ ব্যাপারে কেউ বলেনি। আগেও অনেকবার বলেছি, বোর্ডকে এগিয়ে এসে আমার জন্য দরজা খুলে দিতে হবে। তাহলেই তাদের সঙ্গে আমি বসতে পারব এবং কথাবার্তা বলার সুযোগ পাব। ‘ এদিকে অজি টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও ওয়ার্নারকে সমর্থন দিয়েছেন। অধিনায়কত্বের দাবি আরও জোরালো হয়েছে ওয়ার্নারের একটি সিদ্ধান্তে। ১০ বছর পর তিনি বিগ ব্যাশ খেলতে যাচ্ছেন। তাকে অধিনায়ক করার কথা ভাবছে সিডনি থান্ডার্স।