ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সড়কে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি এক শতাংশ জায়গা নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে ২ দশমিক ২০ জন। অপর দিকে বাস ২ শতাংশ জায়গা নিয়ে যাত্রী বহন করে ৪৪ দশমিক ২০ জন। অর্থাৎ ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় অধিক জায়গা দখল করে কম সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করে এবং যানজট সৃষ্টি করে। তাই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস- ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত ‘জ্বালানি ব্যবহার ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত রাখি’ শীর্ষক সচেতনতামূলক র্যালীতে অংশ নেয় ওই সকল শিক্ষার্থীরা। র্যালীটি ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর মোড় থেকে আবাহনী খেলার মাঠ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, ধানমণ্ডি কচিকণ্ঠ হাই স্কুল, আলী হোসেন বালিকা বিদ্যালয়, ছায়াতল বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ, কারফ্রি সিটিস এলায়েন্স বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ওই কর্মসূচীর আয়োজন করে।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন, হেলথব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, ধানমণ্ডি কচিকণ্ঠ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম নুরুল ইসলাম, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেন, সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস প্রমূখ।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরে নানা প্রতিবন্ধকতা সত্বেও গণপরিবহনে প্রায় ৯০ শতাংশ যাতায়াত সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই গণপরিহন ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন করতে হবে। একই সঙ্গে দূষণ, যানজট, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব এবং জ্বালানি তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাঁটা, সাইকেল ও গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।