একজন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ জেবা চৌধুরীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছিল পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এবার ক্ষমা প্রার্থনার ইচ্ছা পোষণ করেছেন পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান। তাঁর ইচ্ছার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই মামলা মুলতবি ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেন। এর আগে, ইমরান খান এবং পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নির্দেশের বিপরীতে যে জবাব দেওয়া হয়েছিল তাকে ‘অসন্তোষজনক’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এবং বৃহস্পতিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে অভিযোগ গঠনের কথা ছিল।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ, বিচারপতি মোহসিন আখতার কায়ানি, বিচারপতি মিঞা গুল হাসান আওরঙ্গজেব, বিচারপতি তারিক মাহমুদ জাহাঙ্গিরি এবং বিচারপতি বাবর সাত্তার ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা এই মামলার শুনানি করেন।
আদালতের কাছে ইমরান খানের পক্ষ থেকে দাখিল করা এক আবেদনে লেখা হয়, তিনি ‘হয়তো বিপৎসীমা পার করে ফেলেছিলেন।’ আবেদনে বলা হয়, ‘তিনি মহামান্য আদালতকে এই বিষয়ে নিশ্চিত করতে চান যে, তিনি কিংবা তাঁর দল কারওরই জেলা দায়রা আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে কোনো কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চান না এবং তিনি স্বেচ্ছায় এই আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চান—এ কারণে যে, তিনি অনুভব করছেন তিনি সীমা অতিক্রম করেছিলেন।’
ইমরান খানের পক্ষের এমন আবেদনের পর আদালত বলেন, তাঁর বিবাদীর ক্ষমা প্রার্থনা করা সংক্রান্ত জবাবে সন্তুষ্ট। আদালত আরও বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে তাঁকে (বিবাদী ইমরান খান) আগামী শুনানির তারিখ নির্ধারণের আগেই একটি হলফনামা দাখিল করতে বলুন বিবেচনার জন্য।’
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট ইসলামাবাদে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের সমাবেশে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ জেবা চৌধুরী ও পুলিশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। একই সঙ্গে আদালত অবমাননারও মামলা হয়। পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগটি বাদ দিতে নির্দেশ দেয়। বর্তমানে ইমরান খান জামিনে রয়েছেন