আনন্দধারা ফ্লোরিডা ভিত্তিক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। যার জন্য এই সংগঠনের প্রতিটা সদস্যের প্রতিমাসে অন্তত একবার হলেও হয়, মন উচাটন!
সেই সংগঠনের একজন ‘ক্রনিক অনুপস্থিত আসামী’ আমি! বাকিরা সবাই খুব ভালো। প্রতিমাসে একবার সবাই সবার ঘরে সময় দেন। গান করেন। আয়োজন করেন মনায়োজন সন্ধ্যা!
সেই সন্ধ্যার জোনাক সুধা নিয়ে রচিত হয় বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে বড় পরিসরে, পুরো শহর ধরে আয়োজনের প্রকল্প।
তেমনই একটা আনন্দ প্রকল্প- আনন্দধারা আয়োজিত ঈদ আনন্দমেলা! সংযুক্ত ছবিগুলো বলছে তেমনই গল্প।
আনন্দধারার এই অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলাম আমি। যদিও তাতে ছিলাম ‘দুধভাত’! অন্য সব সদস্য বিশেষ গুণে গুনি! তাঁরা প্রায় সবাই গান করেন। কিন্তু একটা ঘটনা ঘটে যায় সেখানে- যিনিই গাইতে উঠেন মনে হতে থাকে কেবল তিনিই গাক! বুঝতে পারছেন পাঠক; প্রতিমাসে সমবেত হয়ে অনুশীলনের কেমন গুরুত্ব! সবাই এতো সুন্দর পরিশীলিত স্বরের যে- স্টেজ থেকে নামতে না দেওয়ার বিভ্রান্তি তো আমাদের হতেই পারে!
সবশেষে যোগদান করেছেন চ্যানেল আই সেরা কন্ঠের ফাইনালিস্ট গায়ক- সামির মাহমুদ! মানে কী আর বলবো- সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে তবু আমরা সূর্য উঠছে এমন মোহে বুঁদ! তাঁর অভিজাত সুর-স্বরে গোধূলি নামলো রাতে!
আমরা বাড়ি ফিরলাম- ফিরতে ফিরতে ভাবলাম
আমাদের আনন্দধারা তো পুরাই ‘হিট’! মা মানে এই হিট সেই হিট না; এই হিট গরমের!! আনন্দধারা আনন্দ দিতে আন্তরিক ঠিক আছে, কিন্তু ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই আমাদের ভেন্যু দেখবার আগে দেখতে হবে সূর্যস্নাত শহরের অতি গরমের দিকে!
আশা করি- এক ‘হিটের’ দুই সমার্থকই তখন মহাসমারহে ব্যবহার করতে পারবো! আনন্দধারা অরল্যান্ডো শহরে নন্দিত হোক সূর্যের আলোর মতো করে…