সেমিফাইনালে উঠতে গেলে জয়ের বিকল্প নেই। বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে কাঙ্ক্ষিত জয়টাই পেয়েছেন সৌম্য সরকার-সাইফ হাসানরা। ইমার্জিং এশিয়া কাপের লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
আজ (মঙ্গলবার) শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ইমার্জিং এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। পি সারা ওভালের এই ম্যাচে আফগানদের ২১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। তবে মিডল অর্ডারে মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করে বাংলাদেশ। কঠিন এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান ৮ উইকেটে করতে পারে ২৮৭ রান।
এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সমান ৩ খেলায় আফগানদেরও পয়েন্ট ৪। তবে নেট রানরেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দলটি। তারপরও তাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়নি। দ্বিতীয় দল হিসেবে এই গ্রুপ থেকে কারা শেষ চারে যাবে, সেটা নির্ধারণ হবে শ্রীলঙ্কা-ওমান ম্যাচের পর।
কলম্বোর ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ওপেনার নাঈম শেখ (১৮) ও তানজিদ হাসান (৯) সুবিধা করতে পারেননি। চারে নামা অধিনায়ক সাইফ হাসানও (৪) ব্যর্থ। তবে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো এই বাংলাদেশই ঘুরে দাঁড়ায় জয় ও জাকির হাসানের ব্যাটে।
চমৎকার ব্যাটিংয়ে জাকির ৭২ বলে ৬২ রানে আউট হলেও সেঞ্চুরি পূরণ করেন জয়। দারুণ ব্যাটিংয়ে ১১৪ বলে তিনি খেলেন ১০০ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা জয় তার ইনিংসটি সাাজন ১২ চার ও ২ ছক্কায়।
সৌম্য সরকারও রান পেয়েছেন। ৪২ বলে খেলেছেন ৪৮ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে মেহেদী হাসানের ১৯ বলে খেলা হার না মানা ৩৬ রানে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০০ ছাড়ায়।
আফগানদের সবচেয়ে সফল বোলার মোহাম্মদ সেলিম। ১০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে তার শিকার ৪ উইকেট।
৩০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আফগানরা ভালোই লড়াই করেছে। ওপেনার রিয়াজ হাসান খেলেছেন সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস। এছাড়া বাহির শাহ (৫৩*), নুর আলী জাদরান (৪৪) ও শহীদউল্লাহ (৪৪) চেষ্টা করেছেন, কিন্তু জেতাতে পারেননি দলকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার তানজীম হাসান সাকিব। এই পেসার ১০ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান ও সৌম্য সরকার।