অমর একুশের গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি” এর রচয়িতা, কিংবদন্তি সাংবাদিক কলামিষ্ট, ভাষাসৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা “আব্দুল গাফফার চৌধুরী”-র তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে পূর্বলন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদে ১৯মে ২০২৫ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আব্দুল গাফফার চৌধুরীর রেখে যাওয়া শোকাহত চার সন্তান অনুপম রেজা চৌধুরী, তানিমা চৌধুরী, চিন্ময়ী চৌধুরী ও ইন্দিরা চৌধুরী পিতার মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর অনুরাগীদের সাথে নিয়ে এই স্মরণ সভার আয়জন করেন।
লন্ডন সময় বাদ আসর ব্রিকলেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই মাহফিলে কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, কাউন্সিলার সহ বিপুল সংখ্যক ব্রিটিশ বাঙ্গালী অংশ নেন।
এই মাহফিলে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন ও ব্রিকলেন মসজিদের প্রাক্তন সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলার ঈকবাল হোসেন, রাজনীতিবিদ সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, আ.স.ম. মিসবাহ, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, কমিউনিটি সংগঠক জামাল খান, শাদ আহমেদ সাদ, মোহাম্মদ মিরন, আহবাব আহমদ, মাহমুদ আলী, সৈয়দ গোলাব আলী, আব্দুল বাছির ফজলে রাব্বি সহ আরো অনেকে।
আরও পড়ুন – নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য যুবলীগের প্রতিবাদ মিছিল
আওয়ামী-লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী “শফিকুর রহমান চৌধুরী” উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে বলেন বাঙ্গালীর মনে যতো দিন “একুশ” থাকবে, বাঙ্গালীর সংস্কৃতি যতদিন পৃথিবীর বুকে থাকবে, ততো দিন বাঙ্গালী “আব্দুল গাফফার চৌধুরী”কে চাইলেও ভুলতে পারবে না। আমরা চাই তিনি আমাদের অন্তরে বেচেঁ থাকুক হাজার বছর।
আব্দুল গাফফার চৌধুরীর স্নেহধন্য লন্ডনের বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিষ্ট মতিয়ার চৌধুরী বলেন “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি” এই গানটিই তাঁকে অমরত্ব দান করেছে। যাদের ভিতরে এখনো পাকিস্তানের প্রেতাত্তা বেচেঁ আছে তাদের বাদ দিয়ে বাঙ্গালীর সংস্কৃতির যারা লালনকারী তাদের মনে আমাদের বাতিঘর “আব্দুল গাফফার চৌধুরী” তার এই অমর গানের জন্য চিরকাল বেঁচে থাকবেন প্রতিটি বাঙ্গালীর অন্তরে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এই দুর্যোগে তার অভাব আমাদের আরও বেশি কষ্ট দিচ্ছে।
সব শেষে তার সন্তানরা তাদের বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থণা করে। এর পরে মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল ইসলাম এর পরিচালনায় দোয়া মাহফিল ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মহান শ্রষ্টার দরবারে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।