বলিউড তারকারা সবসময়ই থাকেন জনগণের নজরবন্দিতে। মুখ ফসকে একটা বেফাঁস কথা বলে দিলেই শুরু হয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। ২০১৯ সালে আলিয়া ভাটের মা সোনি রাজদান করে ফেলেছিলেন এমনই এক কাণ্ড। করেছিলেন এক বিতর্কিত মন্তব্য। তাও আবার পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করে, যা নিয়ে সেই সময় কম জলঘোলা হয়নি।
আসলে কাশ্মীর হোক পাকিস্তান, এই দুই ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করার সময় বেশ ভেবেচিন্তেই কথা বলেন বলিউড তারকারা। তারপরও অনেক সময় ভুল হয়ে যায়!
ওই সময় মুক্তি পেতে চলেছিল সোনির সিনেমা ‘নো ফাদার্স ইন কাশ্মীর’। আর সেখানেই তিনি কথা বলেন কাশ্মীর ও পাকিস্তান নিয়ে। এমনকি প্রতিবেশি দেশে চলে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
সেই সময় নবভারত টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎই সোনি রাজদান বলে বসেন, ভারত-পাকিস্তান সমস্যার মাঝেও তিনি পাকিস্তানে চলে যেতে রাজি। আর তারপরই নেটপাড়ার একটা অংশ সোনি রাজদানের নামের আগে লাগিয়ে দেয় ‘দেশদ্রোহী’র তকমা।
কী বলেছিলেন সোনি রাজদান?
মহেশ ভাটের স্ত্রীর বক্তব্য ছিল, “আমি যখনই এরকম ধরনের কথা বলি আমাকে কিছু মানুষ দেশদ্রোহী বলে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আমি তো কখনও কখনও ভাবি, হ্যাঁ আমার পাকিস্তানেই চলে যাওয়া উচিত। ওখানে অন্তত আমি ভালো থাকব। ওখানে খাবারও খুব সুস্বাদু পাওয়া যায়।”
সোনি এরপর আরও বলেন, “এখানে তো কিছু মানুষ আছে যারা আমাকে ভাগাতে পারলে বাঁচে। অনেকবারই বলেছে পাকিস্তান চলে যাও। তবে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আমার মতো করে ভাবেন। তাই কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”
প্রসঙ্গত, আপাতত নেটিজেনদের বয়কটের মুখে আছে সোনি রাজদান-কন্যা আলিয়া ভাটও। তাকে নিয়ে সবসময় ওঠা স্বজনপোষণ বিতর্কে বিরক্ত তিনি। আর তা প্রকাশ করেই বলেন, “আমি গঙ্গুবাইয়ের মতো ছবি উপহার দিয়েছি, যা হিট। তাহলে শেষ হাসি কে হাসছে? আমি অন্তত আমার পরের ছবি ফ্লপ না হওয়া পর্যন্ত হাসব। আর আমাকে ভালো না লাগলে আমার ছবি দেখবেন না। এর থেকে বেশিই আর কী বা বলার আছে আমার। মানুষের নিজের বক্তব্য থাকতেই পারে। আর আশা করি আমিও আমার কাজের মধ্যে দিয়ে বোঝাতে পারব আমি এই জায়গায় আসার জন্য কতটা যোগ্য।”
আর আলিয়ার এই কথা শোনার পর থেকেই ব্রহ্মাস্ত্রকে বয়কট করার ডাক উঠেছে ভারতজুড়ে।