‘দঙ্গল’ ছবিতে অভিনয় করার পর থেকেই ফতিমা সানা শেখের সঙ্গে আমির খানের সম্পর্কের গুজব শোনা গিয়েছিল বলি পাড়ায়। ‘দঙ্গল’ ছাড়াও ‘ঠগস অব হিন্দুস্তান’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দু’জনে। তার পর যেন আরও গাঢ় হয় তাঁদের সম্পর্ক। ঠিক তার পর পরই দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় আমিরের। ফলত জোরালো হয় ফাতিমার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন। আমিরের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত তাঁর। আমির-কন্যা ইরা খানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ফতিমার। ইরার বাগ্দানে সকাল থেকে হাজির ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই যেন তাল কাটল। মুম্বইয়ে ইরার আইনি বিয়েতে দেখা গেল না ফতিমাকে। তবে কি আমিরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি!
১৯৮৬ সালে রিনার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আমির। রিনার সঙ্গে ১৬ বছরের সম্পর্কের পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন আমির। তাঁদের দুই সন্তান জুনেইদ খান ও ইরা বড় হয়ে ওঠেন রিনার কাছেই। রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক বছর পরে ২০০৫ সালে ‘লগান’ ছবির সহকারী পরিচালক কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির। সেই সম্পর্কে চিড় ধরে প্রায় ১৫ বছর পরে। ২০২১ সালে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন আমির ও কিরণ। দু’বার বিয়ে করেছেন আমির, দু’বারই ভেঙেছে বিয়ে। তবে প্রাক্তন দুই স্ত্রীর সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত অভিনেতা। মেয়ে ইরার বিয়েতেই মিলেছে তার প্রমাণ। ইরার গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে একই ধরনের ভিন্ন রঙের শাড়ি পরে আসতে দেখা গিয়েছিল রিনা ও কিরণকে। বিয়ের অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গেল তাঁদের। তবে সেখানেই অনুপস্থিত ফতিমা। যদিও ক’দিন আগেও ইরা খানের জন্মদিনে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে বিয়েতে দেখা গেল না ফতিমাকে। অভিনেত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে নেটপাড়ার একাংশে। তবে অনেকেরই ধারণা মুম্বইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে না এলেও হয়তো উদয়পুরে অনুষ্ঠানে দেখা যাবে ফতিমাকে। যদিও গোটাটাই জল্পনা। ফতিমা আদৌ উদয়পুরে যাবেন কি না, এখন গোটাটাই ধোঁয়াশা।