ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ৫২ বছরে বরিশাল সিটি করপোরেশনে যে উন্নয়ন হয়েছে, আমি নির্বাচিত হতে পারলে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করব। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় নগরীর আমতলা পানির ট্যাংক সড়কে সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ভোটার ভোট দেয় শান্তি পাওয়ার জন্য, অধিকার বাস্তবায়নের জন্য। যার মাধ্যমে শান্তি এবং অধিকার বাস্তবায়ন হবে তাকেই তো মানুষ ভোট দেবে। আমি কাউকে প্রতিযোগী মনে করি না। আমি মনে করি সবাই আমরা প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ করেছি। আর নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হলেই বলতে পারব কে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি যদি মেয়র হতে পারি তাহলে সাবেক মেয়ররাসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক টেবিলে বসে পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করব। এখানে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কে জাতীয় পার্টি, কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে খ্রিষ্টান ইনশ্আল্লাহ আমি এ ভেদাভেদ করব না। সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ঐক্য করে উন্নয়ন করব।
নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর এই প্রথম ফয়জুল করীম বরিশালে আসলে তাকে নিয়ে নগরীতে মোটর শোভাযাত্রা করেন দলের নেতাকর্মীরা। পরে সংবর্ধনাস্থলে বক্তব্য প্রদান শেষে বিভিন্ন সংগঠন ও সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর পাশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বরিশাল মহানগরের সহ-সভাপতি সৈয়দ নাছির আহমদ কাওছার এবং প্রার্থীর ছোট ভাই ও সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়েরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার প্রার্থী :সিটি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু না হলেও সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে মেয়র প্রার্থীরা ও তাদের পরিবারের সদস্য ও কর্মী-সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত প্রতিদিনই বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গতকাল বিকালে নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি। তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা চাচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব প্রার্থীকে নিয়ে সকলের কাছে যেতে। কেন না মনোনয়নের আগে আবুল খায়ের আবদুল্লাহর বরিশালের রাজনীতিতে উপস্থিতি ছিল না।