কাতার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার চিন্তা করেছিল বাফুফে। এখন সেখান থেকে সরে এসেছে। আপাতত মেসিদের আনার চিন্তা নেই। আরো পরিষ্কার করে বলতে গেলে আর্জেন্টিনাকে আনার চিন্তা থেকে এখন দূরে সরে গেছে বাফুফে। কি কারণে সরে গেছে সেটি নিয়ে মুখ খুলতেও রাজি না। বাফুফের নীতিনির্ধারক সূত্রের দাবি—আর্জেন্টিনাকে নিয়ে আগামী দুই চার ছয় মাস ভাবছি না। পরে দেখা যাবে।
তাহলে কি আর্জেন্টিনাকে আনা হচ্ছে না। বাংলাদেশে মেসিরা আসবেন না। বাফুফে জানিয়েছে আসবেই না বলব না। আপাতত এই চিন্তা নেই।’ আর্জেন্টিনার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেই প্রশ্নে বাফুফের দাবি এখন কোনো যোগাযোগ নেই।’ বাফুফের নীতিনির্ধারণী টেবিলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মানুষটি যদি বলেন এখন আর্জেন্টিনার সঙ্গে যোগাযোগ নেই—তাহলে ধরেই নেওয়া যায় আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ প্রায় বাতিলই করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তার পরই বাংলাদেশে মেসিদের আনার জন্য উদ্যোগ নেয় বাফুফে। চিঠি চালাচালি করে বাফুফে জানিয়েছিল আর্জেন্টিনা প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে। জুনে ফিফা প্রীতি ম্যাচ হবে ঢাকায়। বাফুফেকে মেসিদের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। আর যে কথাটি সরাসরি বলা হয়নি সেটি হচ্ছে মেসিদেরকে আনতে ১০০ কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন হবে। বাফুফে জানিয়েছিল স্পন্সর রয়েছে। অনেক দূর এগিয়েও ছিল। কিন্তু দুই দিন না যেতেই খোদ আর্জেন্টিনায় খবর প্রচার হয় মেসিদের বাংলাদেশ সফর সঠিক নয়। নানাভাবে ভেসে আসা খবরে পিছিয়ে যায় বাফুফে।
তখন বলা হয়েছিল এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই বাফুফে জানিয়ে দেবে। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে নতুন কোনো খবর নেই। কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তারা এড়িয়ে যাচ্ছেন। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনিও মেসিদের আসার বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন,‘আর্জেন্টিনাকে আনব না সে কথা বলিনি। আনার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা এখনো রয়েছে। সব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আমরা পা রাখছি।