বাংলাদেশের ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়ে এখন আর্জেন্টিনার মাটিতে চলে গেছেন জামাল ভুঁইয়া। বাংলাদেশ ফুটবল দলের এই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আজ আর্জেন্টিনার ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করবেন বলে জানিয়েছেন। খুব রাখঢাক না করেই কাজ করছেন। কাউকে জানালে তার চুক্তি যদি না হয় তাহলে পুরো জীবনটাই জলে যাবে মনে হচ্ছে জামালের। তাই হয়তো কোনো কথা বলতে রাজি না। আগে চুক্তিটা হোক তখন সব বলা যাবে—তার কাছে পরিস্থিতিটা এমন। আর্জেন্টিনা থেকে জামাল ভুঁইয়া নিশ্চিত করেছেন কালকে (আজ) অফিসিয়াল কন্ট্রাক্ট সাইনিং সিরেমনি।’ তার এই কথা স্পষ্ট, জামাল আর্জেন্টিনার ক্লাবে খেলবেন। এর বেশি কিছু প্রকাশ করা যাবে না।
জামাল ভুঁইয়া নিজের একটা ছবিও পোস্ট করেছেন। বাংলাদেশের লালসবুজ জার্সিটা তার হাতে, পিঠে লেখা জামাল, বি। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে জামাল আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের অফিসে গিয়েছিলেন। কারণ পেছনেই এএফএ (আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিশেয়ন) লেখা। তার উপরেই বিশ্বকাপ জয়ের তিন তারকা চিহ্ন।
শেষ হওয়া মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে খেলেছেন জামাল। আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব দ্যা মায়োতে খেলার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু জামাল অনুমতি পাননি শেখ রাসেল হতে। না পেয়ে চোখের পানি ফেলতে বাকি রেখেছিলেন সেদিন। লিগের ম্যাচ বাকি, খেলা না শেষ করে কীভাবে শেখ রাসেল থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়—তার জন্য ছুটোছুটি করছিলেন। এবার মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামাল ফ্রি হয়ে যান। আর অমনি তিনি ডেনমার্কে যান, সেখান থেকেই আর্জেন্টিনায় পাড়ি জমান। এক দেশের অধিনায়ক, আরেকটা দেশের তৃতীয় বিভাগে খেলবেন। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির সঙ্গেও জামালের দেখা হয়েছে। সেও জানে তৃতীয় বিভাগের দলের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছেন জামাল।
একটা দেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন আরেকটা দেশের তৃতীয় বিভাগের দলে খেলার জন্য উতলা হয়ে উঠলেন জামাল। ওখানকার তৃতীয় বিভাগের দল কতটা মজবুত সেটা নিয়েও প্রশ্ন থাকলেও তাতে জামালের কিছু যায় আসে না। কাতার বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ যখন ঢাকা ঘুরে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন বিমানবন্দরে মার্টিনেজকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। জামাল সেদিন বলেছিলেন, ‘আমি মার্টিনেজকে একটু দেখতে চেয়েছিলাম।’ বাংলাদেশের পতাকা যার হাতে সে যদি হাসির খোরাক হন তাহলে কেমন দেখায়। বাংলাদেশের ম্যাচে কয়েক বার বাজে আচরণ করে রেফারির চোখে অপরাধী হয়েছেন। কার্ড দেখতে হয়েছে।