চলতি বছরের এপ্রিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদহার বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৮ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে—এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। এটি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের নির্ধারিত সুদহার এখনো বহাল রয়েছে। এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে যে সিদ্ধান্তের কথা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যারা নির্দেশ না মেনে আমানত সংগ্রহ করবে তাদের বিরুদ্ধে নীতি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ এবং ঋণ বিতরণে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদহার বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বেঁধে দেওয়া ক্যাপের মধ্যে ব্যবসা করা কঠিন বলে দাবি করছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম। এ সময় তিনি আমানতের নির্ধারিত সুদের ক্যাপ তুলে নেওয়ার দাবি জানান। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভেঙে বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। এ সময় ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টিই আমানতে সুদের হার ৭ শতাংশের ওপর দিয়েছে। আর ঋণে ১১ শতাংশের বেশি সুদ নিয়েছে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত ক্যাপের চেয়ে আমানতে গড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ সুদ ছিল উত্তরা ফাইন্যান্সে। এ প্রতিষ্ঠানটির ঋণের গড় সুদহার ছিল ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ও সিভিসি ফাইন্যান্সের আমানতের গড় সুদহার ছিল ৯ শতাংশের আশপাশে। ঋণে ১১ শতাংশের বেশি সুদ ছিল আভিভা ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, সিভিসি ফাইন্যান্স ও ইসলামিক ফাইন্যান্সের।