আলম খানের গানেই প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু হয় বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় ও পরপর পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পাওয়া গায়ক কুমার শানুর।
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের নির্মাতা শিবলি সাদিক পরিচালিত ‘তিন কন্যা’ ছবির একটি গান গেয়ে কুমার শানুর প্লেব্যাকে অভিষেক হয়। নায়করাজ রাজ্জাকের ঠোঁটে ‘তিন কন্যা এক ছবি’ নামের ওই গানের সুর ও সংগীত আয়োজন করেন আলম খান। তখন কুমার শানুর নাম ছিল কেদারনাথ ভট্টাচার্য।
এই গানের মাধ্যমেই কুমার শানুর যাত্রা শুরু করেন। এর দুই বছর বলিউডে ডাক পান। ১৯৮৭ সালে সংগীত পরিচালক ও গায়ক জগজিত সিং হিন্দি ছবি আন্ধিয়া’তে গাওয়ার জন্য কুমার শানুকে প্রস্তাব দেন।
মুম্বাইয়ের কল্যাণজি-আনন্দজি ‘যাদুকর’ চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ দেন কুমার শানুকে। তার নাম ‘কেদারনাথ ভট্টাচার্য’ থেকে কুমার শানু করার প্রস্তাব দেন।
এরপর নদীম শ্রবণ নামের বলিউডের সংগীত পরিচালক কুমার শানুর খোঁজ পান। তাঁকে দিয়ে আশিকি সিনেমার গান গাওয়ান। আশিকি সিনেমার ‘এক সানাম চাহিয়ে’, ’তু মেরি জিন্দেগি হে’, ‘নাজার কে সামনে’, ‘জানে জিগার জানেমান’, ‘আব তেরে বিন’ জিলেংগে হাম’ এবং ‘ধিরে ধিরে সে’। গান মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ‘আব তেরে বিন’ গানের জন্য পান ফিল্মফেয়ার।
এরপর সাজান সিনেমা, দিওয়ানা, বাজিগর… আশা করি কুমার শানুকে নিয়ে বর্ণনা করার আর প্রয়োজন নেই। অবশ্য কুমার শানু যে গানে প্লেব্যাক করেছেন, সেটি আদতে করার কথা ছিল এন্ড্রু কিশোরের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁকে না পাওয়ায় সংগীত পরিচালক আলম খানকে কুমার শানুর কথা বলেন শিল্পী ঊষা উত্থুপ। আলম খান সুযোগ দেন কুমার শানুকে।
আর এভাবেই আলম খানের গান দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হওয়া কুমার শানু নিজেকে কতটা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তা সবাই জানেন।