সিলেট ও সুনামগঞ্জের কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও অন্য জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠলেও খাবার ও পানির তীব্র সংকট।সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। আশ্রয়কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সিলেট নগরের কিছু এলাকায় গতকাল রবিবার সরেজমিনে খোঁজখবর নেওয়া গেলেও জেলার সব উপজেলা প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সেখানকার খবর খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। একই অবস্থা সুনামগঞ্জের সব উপজেলায়। রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের অনেক এলাকা বন্যাকবলিত। সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ীতেও পানি বাড়ছে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, নতুন করে রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে। এখন ১২টি জেলার ৭০টি উপজেলায় বন্যা রয়েছে। এটা বাড়ছে। তিনি জানান, সিলেট-সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত এক কোটি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। দুই জেলায় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ করছে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গতকাল সিলেটের বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন। আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী এরই মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে দুই হাজার ১০ জন বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছে, তিন হাজার ৬২৫ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে এবং দুই হাজার ২০০ জনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি বন্যার্তদের মধ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ বিতরণ এবং ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেল গঠন করেছে।
সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মৌলভীবাজারে বিমানবাহিনী স্টেশন শমশেরনগরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার ও একটি পরিবহন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গতকাল শমশেরনগর স্টেশন কমান্ডার গ্রুপ ক্যাপ্টেন ওয়াসিম মোস্তাক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। এর পরই দুপুর ১২টায় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা সমন্বয়ে ২০ সদস্যের একটি দল হেলিকপ্টারে করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর, দিরাই, জামালগঞ্জ উপজেলার পর্যবেক্ষণ মিশন পরিচালনা করে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিও জানিয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় দেশের চার মোবাইল অপারেটরের মোট দুই হাজার ৫২৮ বিটিএস আছে। এর এক হাজার ১৫৯টি বিটিএস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৭টি বিটিএস সচল করা হয়|কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বন্যায় ২২ হাজার হেক্টর জমির ধান ও বীজতলা ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘মাঠে এখন বড় কোনো ফসল নেই। সুনামগঞ্জে তো নেই-ই, সিলেটে কিছু ফসল আছে|
আমরা সারা দেশটাই দেখছি। আর তিন লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন সবজি আছে। এর মধ্যে পাঁচ-সাত হাজার হেক্টর ক্ষতি হয়েছে। ’
রাজধানীর এক অনুষ্ঠান শেষে গতকাল সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলের সব পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশ থাকলেও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, ওষুধ ও সাধ্য অনুযায়ী খাদ্য পাঠানো হচ্ছে। ’ তিনি জানান, ১১ জেলায় বানভাসিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০ মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
সিলেটের সঙ্গে গতকাল দেশের রেল যোগাযোগ ফের চালু হয়েছে। পানি কমায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবার পুরোদমে সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও অনেকটাই স্বাভাবিক।
গতকাল সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজারের একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র, বাদাঘাট সেতুসংলগ্ন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে এবং আশ্রয় নেওয়া অন্তত ১৬ জন অভিযোগ করেছেন, তাঁরা কোনো সরকারি ত্রাণ পাননি। কোনো জনপ্রতিনিধিও যাননি।
সিলেট নগরের বাদাঘাটসংলগ্ন চরের বাজার এলাকার মো. সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘সরকারি বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কেউ খোঁজ নিতে আসেননি। স্থানীয় অবস্থাসম্পন্নরা আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে খাবার দিচ্ছেন। ’
এদিকে দুর্গত অনেকে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিভিন্ন দিকে ছুটছে। যাদের বাড়ি অন্য জেলায় সেখানে পরিস্থিতি ভালো থাকলে তারা সেদিকে যাচ্ছে। কেউ কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় খুঁজছে।
একই চিত্র সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার। সিলেটে সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি আরো নাজুক। উপজেলার বেশির ভাগ আশ্রয়কেন্দ্রেই ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ সদরের থানা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের হোসাইন আহমদ বলেন, ‘সরকারি ত্রাণ এখনো পাইনি। আশ্রয়কেন্দ্রে আসার সময় সঙ্গে করে আনা চাল, ডাল দিয়ে কোনোমতে দিন চালাচ্ছি। এক বেলা ভাত খেলে বাকি দুই বেলা কখন চিড়া-মুড়ি, কখনো বিস্কুট খেয়ে পার করছি। পানি পাচ্ছি না। ’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও নগদ অর্থ রয়েছে। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ ও শুকনা খাবার বিতরণ করে যাচ্ছি। তবে আবহাওয়ার কারণে কিছু দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ’ তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও অন্যান্য ইউনিটের সহায়তায় জেলায় দুই লাখ ৩০ হাজার ৬৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ৪৯৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৩১ হাজার গবাদি পশু উদ্ধার করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে ২৯ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এখনো বহু মানুষ আশ্রয় পায়নি। খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট। প্রশাসনও সব জায়গায় পৌঁছতে পারছে না। সার্কিট হাউস থেকে শহরের কিছু মানুষকে রান্না করা খাদ্য বিতরণ করছে প্রশাসন। তবে তা অপ্রতুল। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে কৃষক। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে বিপাকে স্বজনরা। হাসপাতালে পৌঁছতে পারছে না।
সুনামগঞ্জের কালিপুর গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমরা গরু-বাছুর মসজিদের ছাদে রেখেছি। নিজেরা আশ্রয়কেন্দ্রে এলেও খাবার পাচ্ছি না। ’
তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়াসহ ২১টি হাওরপারের দুই শতাধিক গ্রামের প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়েছে হাজারো ঘর। শনির হাওরপারের উপজেলা সদরের ঠাকুরহাটি গ্রামের আবুল হাসনাত বলেন, ‘ঢেউয়ে আমার বসতভিটা ভেঙে নিয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক মণ ধান। ’
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা মানুষকে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রতিটি উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত। আমাদের সব অফিসের নিচতলা পানির নিচে। পানিও ধীরে নামছে। ’
মৌলভীবাজারের সাত উপজেলার ৩২৫টি গ্রাম প্লাবিত। তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি। জেলায় ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে ১৫ হাজার মানুষ ও এক হাজার গবাদি পশু রাখা হয়েছে। দুই হাজার শুকনা প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় স্বাভাবিক আছে।
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানিতে তলিয়ে হবিগঞ্জের চার উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ সব ইউনিয়ন, নবীগঞ্জ উপজেলার ৯টি, বানিয়াচং উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন এবং লাখাই উপজেলার চারটি ইউনিয়নের চার হাজার ৫৮১টি পরিবার পানিবন্দি। জেলায় ৯৩টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজে আশ্রয় নিয়েছে ২০০ পরিবার। সেখানে কথা হয় রাবেয়া খাতুন নামের এক বৃদ্ধার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোনোভাবে নিজের জানটা নিয়া এখানে আইছি। শনিবার সারা রাত না খেয়ে কাটাই। আজ (গতকাল) কিছু সাহায্য পাইছি। ’
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইনসহ আট উপজেলার ১৩০টি গ্রাম তলিয়েছে। এসব গ্রামে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি। গত দুই দিনে ইটনা ও মিঠামইনের প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষকে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। উজানের সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি নেত্রকোনা হয়ে কিশোরগঞ্জে আসতে শুরু করেছে।
বোরোপ্রধান হাওরাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই প্রচুর ধান-চাল রয়েছে। এখন ধান-চাল আর গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে হাওরবাসী।
ইটনা সদর ইউনিয়নের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সদর ইউনিয়নের আনন্দপাড়ার মাছ বিক্রেতা প্রিয়নাথ বর্মণ জানান, তাঁর বসতঘরে কোমরপানি। মানুষের অবস্থা শোচনীয়।
মিঠামইনের প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সব কটিতে পানি বেড়েছে। ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কাটখাল ও বৈরাটি ইউনিয়নে ক্ষতি হয়েছে বেশি। এরই মধ্যে ৬০০ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
ভৈরবে মেঘনা নদীর পানির তোড়ে গতকাল সকালে ভৈরববাজার নদীবন্দর এলাকার একটি রাইস মিলের শ্রমিকদের বসতঘর বিলীন হয়। এ সময় ওই ঘরে থাকা শরীফ মিয়া (৩০) ও মোস্তাকিম মিয়া (২৪) নামের দুই চাতাল শ্রমিক নিখোঁজ হন।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত জেলায় ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ছয় হাজার ৬৯৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ৮৯ মেট্রিক টন চাল, নগদ তিন লাখ টাকা ও এক হাজার ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে গতকাল ছাত্রলীগ নেতা আবির আহমেদ খান রুজেল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নের কুচনিপাড়া, আয়নাপুর, সদরের সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর, হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন এবং নালিতাবাড়ীর কলসপাড়, যোগনিয়া ও মরিচপুরনা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট, নদীর বাঁধ, সেতু-কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ওই সব এলাকার মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে থাকায় জেলা সদরের গাজীরখামার ও নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নসহ আশপাশের নতুন নতুন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকেছে। গতকাল দুর্গত এলাকায় প্রশাসনের ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত ছিল। তবে তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দুপুরে সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় আনসার ও ভিডিপির উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী এবং যারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না তাদের মাঝে কলাগাছের ভেলা বিতরণ করা হয়।