- • ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার গ্রাম
অনলাইন ডেস্ক ॥ রাজ্যের কর্মকর্তারা জানান, আসামের ২৮টি জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছে এসব জেলার তিন হাজার গ্রাম। এ মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবগঠিত বাজালি জেলা।
বেশ কিছু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আসামে বন্যায় অন্তত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, রাজ্যটিতে বন্যায় গত দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন।
এদিকে বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। চিকিৎসা বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের ঘর থেকে না বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। টানা তৃতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধতার কারণে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির বেশিরভাগ অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। গুয়াহাটি শহরেও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় শহরের নুনমতি এলাকার অজন্তানগরে তিনজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে বাকসা জেলায় অবিরাম বর্ষণ এবং ডিহিং নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বুধবার সুবানখাটা এলাকায় একটি সেতুর আংশিক ধসে পড়ে।
রাজ্যের এক কর্মকর্তা জানান, আসামের নিম্নাঞ্চলের রাঙ্গিয়া বিভাগের নলবাড়ি ও ঘোগরাপারের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইনে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এর ফলে অন্তত ছয়টি ট্রেন বাতিল এবং চারটি আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের জাতীয় মহাসড়কের ৬-এর কিছু অংশ প্লাবিত হওয়ায় এবং ধসে পড়ায় ভারী যান চলাচলের জন্য মহাসড়কটি বন্ধ রয়েছে। ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশকে সংযুক্ত রাখার অন্যতম মাধ্যম এ মহাসড়কটি।
বুধবার পর্যন্ত আসাম এবং মেঘালয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭২ মিলিমিটার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ দুই রাজ্যে রেড অ্যালার্ট আরো দুই দিন বাড়িয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
একদিনে ৮১১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার মাত্র দুই দিন পরে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত ১৯৯৫ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।