আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চায়।
মঙ্গলবার নির্বাচনে কমিশনের সংলাপে অংশ নিতে এসে এই কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ব্যাপারে (ইভিএম) আমাদের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। আগেই আমাদের দলীয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান করব, আপনারা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। ইভিএমের সংখ্যা বাড়ান।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, এ বিষয়ে মতামত নিতে আওয়ামী লীগসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় এ সভা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলে।
সংলাপে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল সদ্য শেষ হওয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় কমিশনকে ধন্যবাদ দেয়।
সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নেই, কিছুদিন পর থেকেই ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্রপত্রিকায় চাউর হয়েছিল। এর পক্ষে এবং বিপক্ষে কথাবার্তা হয়েছে। আমাদের শুরু থেকেই ইভিএম সম্পর্কে সেরকম ধারণা ছিল না। আমাদের ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। আমরা ইতোমধ্যেই ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন আমাদের মোটামোটি ধারণা আছে।
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা দুটি সংলাপ করেছি। অনেকেই কিন্তু ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সলিউশন দিয়ে বলেছে, আরও উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে যদি ইভিএম ক্রয় করা যায় তাহলে আর ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন আমরা ইভিএমে নির্বাচনে যাব না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবো। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো সেটা আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজকে আপনারা বড় বড় দলের অনেকেই এসেছেন। মাননীয় মন্ত্রী স্বয়ং নিজেই এসেছেন, যেটা আমি প্রত্যাশাও করেনি। আপনি এসেছেন আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আজকে আমাদের আলোচনাটা ইভিএমেরই মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আপনারা ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে বলতে পারেন। আমরা আপনাদের কথাগুলো শুনবো। আমরা আপনাদের আলোচনা শুনে পরবর্তীতে আমরা বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্তে উপনীত হবো।’