তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ। সোমবার (৬ মার্চ) টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে টাইগার বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে জেসন রয় ও ফিল সল্ট। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রয় কিছুটা দেখেশুনে খেললেও মারমুখি ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন আরেক ওপেনার ফিল সল্ট।
প্রথম ৫ ওভারে ৩৪ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে মেডেন ওভার দেন এবাদত হোসেন। এরপর ইনিংসের নবম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। ফিল সল্টকে আউট করেন সাকিব। দলীয় ৫৪ রানে ২৫ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সল্ট।
এরপর দশম ওভারে ক্রিজে আসা মালানকে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন এবাদত হোসেন। ২ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান ডেভিড মালান। এরপর ইনিংসের ১১ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে রয়কে বোল্ড করেন সাকিব। দলীয় ৫৫ রানে ৩৩ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রয়।
এরপর স্যাম কুরান ও জেমস ভিন্স মিলে দেখেশুনে খেলতে থাকেন। দু’জন মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কুরান দেখেশুনে খেললেও কিছুটা দ্রুত গতিতে রান তোলেন ভিন্স। তবে দলীয় ১০৪ রানে ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানে মেহেদী মিরাজ। ৪৯ বলে ২৩ রান করে আউট হন স্যাম কুরান।
এরপর ইংলিশ শিবিরে জোড়া আঘাত হানে সাকিব ও এবাদত। দলীয় ১২৭ রানে ভিন্সকে আউট করেন সাকিব। আর দলীয় ১৩০ রানে মইন আলিকে আউট করেন এবাদত। ভিন্স ৪৪ বলে ৩৮ ও মইন আলি ৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর দলীয় ১৫৮ রানে বাটলারকে আউট করেন তাইজুল। ২৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন বাটলার। বাটলারের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সাজঘরে ফিরে যান আদিল রশিদ। রশিদকেও আউট করেন তাইজুল। ১৪ বলে ৮ রান করে আউট হন রশিদ।
এরপর দলীয় ১৮২ রানে রেহান আহমেদকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। ৭ বলে ২ রান করে আউট হন রেহান আহমেদ। শেষ ব্যাটার হিসেবে ক্রিস ওকেস আউট হলে ১৯৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড।