ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে কিনা ইউক্রেন, এ বিষয়ে জোটের সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ জানা যেতে পারে।
আকস্মিক সফরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান। সেখানে শনিবার তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ইইউর এমন অবস্থানের কথা জানান উরসুলা ভন দের লিয়েন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার শুরুর পর উরসুলা ভন দের লিয়েনের এটা দ্বিতীয় কিয়েভ সফর। বৈঠক শেষে জেলেনস্কির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনি (জেলেনস্কি) আইনের শাসন শক্তিশালী করার জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু এখনও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ আপনাদের (ইউক্রেনের) ইইউভুক্ত হওয়া প্রক্রিয়া শুরু করা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে।
অন্যদিকে জেলেনস্কি বলেন, পুরো ইউরোপ মস্কোর আগ্রাসনের নিশানায় রয়েছে। ইউক্রেন এ আগ্রাসনের প্রথম পর্যায় মাত্র। ইউক্রেনের সদস্যপদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে ইইউর সদস্যদের ইতিবাচক মনোভাব ইউরোপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়ে রইবে।
তবে প্রক্রিয়াটি মোটেও সহজ নয়। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ যদি ইইউর সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনের আবেদনে সম্মতি জানায় তারপরও দেশটিকে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এ জন্য শুরুতে জোটের ২৭ সদস্যের সবার সম্মতি প্রয়োজন হবে। এর পর জোট ইউক্রেনের সঙ্গে সদস্য হওয়ার শর্ত নিয়ে আলাচনা শুরু করবে। এ প্রক্রিয়া কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত চলতে পারে।