ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে প্রবল বাতাস এবং চরম শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ফ্রান্সের অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ও অবকাশ উদযাপনকারী বিভিন্ন শহর ও গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
গত কয়েক দিনে ১০ হাজারেরও বেশি লোক ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিহঁদ অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
পর্তুগাল এবং স্পেনে বেশ কয়েক জায়গা দাবানলে জ্বলছে।সেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেছে।
তাপপ্রবাহে পর্তুগাল এবং স্পেনে অন্তত ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম স্পেনের বেশ কয়েকটি শহরের মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের অগ্নিনির্বাপক ফেডারেশনের প্রধান গ্রেগরি আলোয়াঁ নাগরিক সুরক্ষার ওপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। আলোয়াঁ বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপক, নাগরিক নিরাপত্তাকর্মীরা নিত্যদিন এর প্রভাব মোকাবেলা করেন। আর ২০৩০ সালে নয়, এসব প্রভাব এখনই অনুভব করা যাচ্ছে। ’
মানুষের সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ আরো ঘন ঘন, আরো তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠেছে। শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই প্রায় ১ দশমিক ১ সেলসিয়াস বেড়ে গেছে।
বিশ্বের সরকারগুলো উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ দ্রুত বড় আকারে হ্রাস না করলে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে।
স্পেনের অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা মনসাগ্রো শহর রক্ষা করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। কারণ শহরটির আরো দক্ষিণে থাকা বিরল প্রজাতির পাখির আবাসস্থল মনফ্রাগি জাতীয় উদ্যানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানল পার্কের ঠিক পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এসে গেলে পথটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শুক্রবার পশ্চিম স্পেন ও পর্তুগালের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। উত্তরের পিনহাওতে বৃহস্পতিবার ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এটি পর্তুগালের মূল ভূখণ্ডে জুলাই মাসের জন্য সর্বোচ্চ তাপের রেকর্ড।
তবে, স্পেনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারীরা বলেছেন, শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।