ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জেরে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
একই সঙ্গে দেশটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না পর্যন্ত এই পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপে আর গ্যাস সরবরাহ করা হবে না।
এর আগে মস্কো বলেছিল, মেরামত কাজের জন্য পাইপলাইনটি তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
সে তিন দিন শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন রাশিয়া বলছে, পাইপলাইনটি আবার খুলতে না পারার দায় পশ্চিমা দেশগুলোর। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে কিংবা নিষেধাজ্ঞার মাত্রা কমালে কি গ্যাস সরবরাহ আবার শুরু হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘অবশ্যই’।
রাশিয়া তার পাইপলাইন চালু না করলে ইউরোপীয় দেশগুলোতে আসন্ন শীতকালে গ্যাসের আকাল দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় সোমবার ইউরোপে গ্যাসের দাম বেড়ে যায়। আগামী মাসে (অক্টোবরে) সরবরাহ করার জন্য হল্যান্ডের গ্যাসের দাম সোমবার ৩০% এবং ব্রিটেনের গ্যাসের দাম ৩৫% বেড়ে যায়। হল্যান্ডের গ্যাসের দামকে ইউরোপের বাজারে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এরপর আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পশ্চিমা দেশগুলো এমন সময় রাশিয়ার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যখন ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের জ্বালানি সরবরাহ পাওয়ার জন্য কঠিনভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।
তবে নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়া সত্ত্বেও মস্কো এতদিন ইউরোপকে গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছিল। কিন্তু এবার তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিল। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে গ্যাসকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করছে যদিও মস্কো এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসেছে