২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত একটি স্বর্ণযুগ কাটায় স্পেন। এর মধ্যে ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপও জয় করে। তবে তারপর থেকে আর কোনো বড় অর্জন করতে পারেনি দলটি। বর্তমানে বলতে গেলে তাদেরকে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াইয়ে গোনায় হচ্ছে না। তবে, যুবা খেলোয়াড়দের নিয়ে কোচ লুইস এনরিকে আবারও স্প্যানিশ ভক্তদের মন জয় করার মতো একটি দল গঠন করে ফেলেছেন এবং সেই দল নিয়ে তিনি ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যেই এবারের বিশ্বকাপে প্রবেশ করবেন।
আজ দিনের তৃতীয় খেলায় রাত ১০টায় কাতার বিশ্বকাপ মিশনে ‘ই’ গ্রুপের খেলায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্পেন ও কোস্টারিকা। দলটি বিশ্বকাপ পর্যায়ে মোটেও নতুন কোনো দেশ নয়, বরং অতীতের বিভিন্ন বিশ্বকাপে তারা কিছু স্মরণীয় ম্যাচ এবং ফলাফলও উপহার দিয়েছে। এই ম্যাচটি থেকে দেখলেই বোঝা যাবে যে, টুর্নামেন্টটিতে তারা কতদূর এগুনোর সম্ভাবনা রাখে এবং বিশ্বের বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে তারা অঘটন ঘটাতে পারে কি না। তবে এ ম্যাচে ফেবারিট হিসেবে খেলতে নামবে স্পেনই।
এর আগে কোস্টারিকার বিপক্ষে স্পেনের কিছু দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে এবং দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতেছে স্পেন আর একটি হয়েছে ড্র। অন্যদিকে বিশ্বকাপ মঞ্চে এবারই প্রথম কোস্টারিকা মুখোমুখি হচ্ছে স্পেনের।
এই ম্যাচটি খেলার জন্য মাঠে নামার আগে তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জয়, ২টিতে ড্র এবং একটিতে পরাজয় বরণ করেছে স্প্যানিশরা। তার মধ্য থেকে সবগুলো ম্যাচই ছিল উয়েফা নেশনস লীগে। যদিও লেশনস লীগ কেবলমাত্র একটি ফ্রেন্ডলি টুর্নামেন্ট হিসেবেই গণ্য হয়, তবুও সেখানে অর্জিত জয়ের মূল্যও একেবারেই কম নয়। ইউরোপে উয়েফা ইউরোর পর সেই টুর্নামেন্টটিরই স্থান।
এদিকে এর আগে পাঁচ বার ফিফা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কোস্টারিকা। ২১ শতকের মধ্যে তারা একমাত্র ২০১০ সালে প্রতিযোগিতাটি মিস করেছিল, যখন স্পেন ট্রফিটি তুলেছিল। এছাড়া উত্তর আমেরিকার এই দেশ স্পেনের চেয়েও ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কাতার বিশ্বকাপে প্রবেশের পূর্বে। তাদের খেলা সর্বশেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয় এবং একটিতে ড্র তুলে নিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় অবস্থান করছে। নেদারল্যান্ডসের মতো প্রতিপক্ষের, যারা কি না যেকোনো টুর্নামেন্টে প্রবেশের সময় ফেভারিট হিসেবেই প্রবেশ করে, বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সেই আত্মবিশ্বাস অবশ্যই কাজে দিবে।