দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হাতিয়ার হিসেবে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকারের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন করাও যায় সেখান থেকে ১৫০ আসনে ইভিএম দিয়ে তারা ক্ষমতা যেতে চায়। আমরা জীবনে পরোয়া করি না, আমরা জীবনের মায়া করি না। এই সরকারকে হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করার জন্যই রাজপথে এসেছি। আমাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে দমানো যাবে না। সকল দলকে অনুরোধ করছি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া আপনারা নির্বাচনে যাবেন না। আপনারা যদি নির্বাচনে যান তাহলে জাতীয় বেঈমান হিসেবে প্রমাণিত হবেন।
শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকারের সমাবেশে তিনি এসব বলেন।
ভিপি নুর বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেশদ্রোহী। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে বিরোধীদল থেকেও বড় কোন প্রতিবাদও আসেনি। কারণ সবাই ভারতে সহায়তায় ক্ষমতায় যেতে চায়।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক প্রয়োজন। সেই সুসম্পর্ক হবে নাগরিকদের চাওয়া পাওয়ার ভিত্তিতে ও ন্যায্যাতার ভিত্তিতে। আমার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কে বিকিয়ে দিয়ে নয়। কিন্তু বর্তমান সরকার ভারতের গোলামী করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকার যদি ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির আগে পার্লামেন্টে জানাতে হবে, জনগণ কে জানাতে হবে। আবার যদি ট্রানজিট ট্রানশিফটের মতো বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে কোন আইন করা তাহলে বাংলাদেশের জনগণ সেটাকে প্রতিহত করার জন্য রাজপথে নামবে। ভারতের আধিপত্যর বিরুদ্ধে শেখ মুজিবের মতো শহীদ হতে হলে আমরা হবো। জিয়াউর রহমানের মতো শহীদ হতে হয় তাও হবো। ইলিয়াস আলীর মতো গুম হতে হলে সেটাও হবো। তবুও ভারতের হিন্দুত্ববাদের গোলাম হতে দিবো না।
তিনি আরো বলেন, বন্ধুরা আপনাদের বলছি, সামনে আপনাদের আরো কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, আরো কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঢাকা শহরে কিছুই করছে না। কিন্তু প্রত্যেকটি জেলা শহরেই তার দলের লোকদের দিয়ে হামলা করাচ্ছে। কারণ জেলায় ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় আর ঢাকার সভা-সমাবেশে অনুমতি দিয়ে বিদেশিদের দেখাতে চায় শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক ভাবে দেশ শাসন করছে।
চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকার মজুরীর দাবী মেনে নিয়ে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ম মজুরী ২০ হাজার টাকা করার আহ্বান জানান।
শ্রমিক অধিকারের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদের সঞ্চালনায় সমাবেশে গণ অধিকারের রাশেদ খান, ফারুক আহমেদ, শ্রমিক অধিকারের সভাপতি আব্দুর রহমান বক্তব্য রাখেন।