রোববার পাঞ্জাব প্রদেশের কারগারগুলোর মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) মিয়া ফারুক নাজির রোববার অ্যাটক কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি ইমরানের জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র কারাগারভবনে নিয়ে এসেছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
অ্যাটক কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারাবিধি অনুসারে ৭০ বছর বয়স্ক ইমরান খানকে একটি বিছানা, বালিশ, ম্যাট্রেস, চেয়ার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি এসি, ফ্যান, ইংরেজি অনুবাদসহ কোরআনের একটি কপি, থার্মোফ্লাক্স, খেজুর, মধু সরবরাহ করা হয়েছে এবং সামনেও এটি অব্যাহত থাকবে। এর বাইরে তাকে নিয়মিত বই ও প্রতিদিন একটি সংবাদপত্র এবং নামাজ আদায়ের জন্য শিগগিরই কারাগারের একটি কক্ষ খালি করা হবে।
এছাড়া পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৫ জন ডাক্তারের একটি দল করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন আট ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিদিন তাকে বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হবে এবং সরবরাহকৃত খাবার একজন ডাক্তার পরীক্ষা করবেন।
রোববার ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে এইসব তথ্য নিশ্চিত করেন মিয়া ফারুক নাজির। প্রতিক্রিয়ায় ইমরান আইজি প্রিজন্সকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচিত তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছর কারাবাসের সাজা পেয়েছেন ইমরান খান, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন এবং মেয়াদ শেষ করতে পারার আগেই ২০২২ সালে বিরোধী এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালত গত ৫ আগস্ট, শনিবার দুপুরে তোশাখানা মামলার রায় ঘোষণার পরপরই লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে অ্যাটক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু কারাগারের যে কক্ষটিতে তাকে রাখা হয়েছিল, সেটি খুবই অস্বাস্থ্যকর ও পোকামাকড়ে পরিপূর্ণ বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান খানের আইনজীবীরা। ইমরান খান নিজেও আইনজীবীদের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাকে যেন এই কারাকক্ষ থেকে বের করে নেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেন, কারাগারে তার স্বামীর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে এবং তিনি আশঙ্কা করছেন, ইমরান খানকে বিষপ্রয়োগ করা হতে পারে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সর্বোচ্চ আদালতকে অনুরোধ জানান বুশরা।
বুশরা আবেদন জানানোর ২ দিনের মধ্যে ইমরান খানকে সরবরাহ করা হলো এসব জিনিসপত্র।