পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই নির্বাচন না হলে দুইটি প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের শাহবাজ শরীফের সরকার এখনও তার দাবিতে কাজ না করায় তিনি এবার ‘চরম পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইমরান। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের অভাবে পাকিস্তান ক্রমেই ডুবে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) একটি ভিডিও বার্তায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রধান বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন হয়নি। দেশ ডুবে যাওয়ায় আমরা সবাই ভীত।’
তিনি আরও সতর্ক করেছিলেন যে ২৩ ডিসেম্বর পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হবে। ইমরান যখন এই ঘোষণা করছিলেন, তখন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি ও খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান তার দুইপাশে বসে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই দুই প্রাদেশিক পরিষদে ইমরানের দল পিটিআই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কারণও জানিয়েছেন ইমরান।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিধানসভা ভেঙে দিলেই এই দুই প্রদেশে নতুন করে নির্বাচন করব।’ পিটিআইয়ের ১২৫ সদস্য পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে চাননি। এ প্রসঙ্গে ইমরান জানিয়েছেন, পদত্যাগপত্র গ্রহণের জন্য তারা আবার স্পিকারের কাছে আবেদন করবেন।
ইমরানের দাবি, ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) জোট সরকার পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে যেতে চায় না। পিটিআই প্রধান জানান, জনগণ ভোটে তাদের সঠিক জবাব দেবে। ইমরান যিনি অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান, তার অপসারণের জন্য এর আগে সেনাবাহিনী ও একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেছিলেন।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সরাসরি তিনি পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার নাম নিয়ে বলেছেন, ‘পিটিআই সরকার উৎখাতের পেছনে কেউ থাকলে তার নাম বাজওয়া।’