কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর জেরে ইরানের বিক্ষোভ কিছুতেই থামছে না। সমগ্র ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুলপড়ুয়া মেয়েরা স্লোগান দিচ্ছেন, কর্মীরা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এর তিন দিন আগে তেহরানের নৈতিক পুলিশ ‘যথাযথভাবে’ হিজাব না পরার কারণে তাকে আটক করে। মাসা আমিনির পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে। যদিও গত শুক্রবার প্রকাশিত ফরেনসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনোরকম আঘত নয় বরং অসুস্থতাজনিত কারণে মাসার মৃত্যু হয়েছে। তবে ২২ বছর বয়সী মাসার পরিবারের দাবি, সে সুস্থ্য ছিল।
মাসা আমিনির গ্রামের শহর পশ্চিম প্রদেশ কুর্দিস্তানের সাকেজ শহরে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীরা ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ স্লেগান দিয়েছেন। এছাড়া মাথা থেকে তাদের হেডস্কার্ফ ফেলে দিতে দেখা গেছে। যদিও ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বিক্ষোভের খবরে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নতুন অ্যাকাডেমিক বর্ষ উপলক্ষে তেহরানের মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ‘আল জাহরা ইউনিভার্সিটি’র ছাত্রীদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটো তোলেন। এদিনও দেশটিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইরান সরকার বলছে, শত্রু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই বিক্ষোভের চক্রান্ত করছে। চার সপ্তাহ গড়ানো বিক্ষোভে ২০ জনের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তব্যে বলেন, তারা (শত্রুরা) ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অশুভ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা সতর্ক আছেন। তারা শত্রুদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেবে না।