পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই টুইটারে আমিনির বিচার চাইলেন।
মালালা টুইট বার্তায় লিখেছেন, একজন নারী কি পোশাক পরবেন সে ব্যাপারে তার নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি আগেই বলেছি, যদি কেউ আমাকে আমার মাথা ঢেকে রাখতে বাধ্য করে, আমি প্রতিবাদ করব।
আবার যদি কেউ আমাকে আমার স্কার্ফ খুলতে বাধ্য করে, তা হলেও আমি প্রতিবাদ করব। আমি মাহসা আমিনির জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানাচ্ছি। ‘
ফেব্রুয়ারীতে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে হিজাব বিতর্কের সময়ও জোরপূর্বক হিজাব পরতে না দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন মালালা। তখন তিনি বলেছিলেন, মেয়েদের হিজাব পরে স্কুলে যেতে দিতে অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর। হিজাব পরা নিয়ে নারীদের মধ্যে কম-বেশি আপত্তি আছে। ভারতীয় নেতাদের অবশ্যই মুসলিম নারীদের প্রতি এই ঘটনা বন্ধ করতে হবে।
এদিকে ইরানে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের চালানো গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে নিহত হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ সদস্য।
আন্দোলনকারীদের দমিয়ে রাখতে না পেরে প্রযুক্তি ব্যবহারের পথে হাঁটছে ইব্রাহিম রাইসির সরকার। হিজাববিরোধী আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে কারণে ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরানের পুলিশ।
হিজাব না পরায় গত ১২ সেপ্টেম্বর ইরানের রাজধানী তেহরানে নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হোন মাহসা আমিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশি হেফাজতে কোমায় মারা যান তিনি।