ইরানে গুপ্তচর নিয়োগ দিয়ে তাদের রক্ষা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র বহু গুপ্তচরকে আটক করেছে। সিআইএ তাদের ইরানি গুপ্তচরদের সঙ্গে গোপনে যোগাযাগ করার যে ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল তার দুর্বলতার কারণেই ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে এসব গুপ্তচরকে আটক করা সহজ হয়েছে।
প্রতিবেদনটি শুরু করেছে- ২০১০ সালে ইরানে আটক সিআইএ’র গুপ্তচর গোলামরেজা হোসেইনির ঘটনা দিয়ে। এতে তাদের তদন্তের ফলাফল তুলে ধরে বলা হয়েছে, সিআইএ কর্মীদের দায়িত্বে অবহেলা করার কারণে সৃষ্ট দুর্বলতার ফলে হোসেইনিকে আটক করতে পেরেছে ইরান।
হোসেইনি প্রায় এক দশক কারাভোগের পর ২০১৯ সালে মুক্তি পায়। এরপর গত তিন বছরে সিআইএ তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেনি। সিআইএর এই সাবেক গুপ্তচর রয়টার্সকে বলেছে, এটি মার্কিন সরকারের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়।
সিআইএ ইরান থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজে লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেনি।
সিআইএ’র কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স-এর সাবেক কর্মকর্তা জেমস উলসন এ সম্পর্কে বলেন, গুপ্তচরদেরকে গ্রেফতারের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে না পারা সিআইএর জন্য পেশাগত ও নৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিদেশি গুপ্তচর আটকের সব খবর প্রচার করা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে সিআইএ’র দুর্বলতা তুলে ধরার জন্য কোনও কোনও গুপ্তচর আটকের খবর সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তুলে ধরেছে ইরানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।