ইরানে পালিয়ে যাওয়ার সময় তালেবান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে এক বিক্ষুব্ধ তালেবান কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মৌলভি মাহদি মুজাহিদ। তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলভি মাহদি মুজাহিদ পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশ দিয়ে ইরানে প্রবেশ করার সময় তালেবান সীমান্ত বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। তিনিই একমাত্র হাজারা সম্প্রদায়ের তালেবান কমান্ডার যিনি তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম খামা প্রেস জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মাহদি মুজাহিদের হত্যার তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। বিবৃতিতে তাঁকে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৌলভি মাহদি মুজাহিদ ১৩ বছর আগে তালেবানে যোগ দিয়েছিলেন। তখন আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল মার্কিন সেনারা। মাহদি মুজাহিদ আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাহদি মুজাহিদ তালেবান সরকারে হাজারাদের আরও অংশগ্রহণ চেয়েছিলেন। কিন্তু তালেবান নেতারা তাঁর দাবি মেনে নেয়নি। এমনি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার’ প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবিকেও উপেক্ষা করেছে ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠী।
তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের হামলা ও বোমা বিস্ফোরণ নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
গত মাসে কাবুলের কার্তে পারওয়ান গুরুদুয়ারার কাছে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। শিখ সম্প্রদায়সহ আফগানিস্তানের অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
কাবুল এখন চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে চরম দারিদ্র্য দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক পরিবর্তনই দারিদ্র্য বাড়ার মূল কারণ। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনেকে ব্যক্তিগত ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এসব কারণে দারিদ্র্য আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।