হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ হামলার জেরে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনা স্থগিত করেছে সৌদি আরব। শনিবার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি বড় আকারের আক্রমণ শুরু করে, যাতে প্রায় এক হাজার ৩০০ মানুষ নিহত হয়। অন্যদিকে প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় দুই হাজার ২০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব সম্ভাব্য সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে আলোচনা থামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে।
এর আগে উপসাগরীয় দেশটি ইসরায়েলকে কখনই স্বীকৃতি দেয়নি এবং মার্কিন মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়নি। ওই চুক্তির অধীনে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোর সঙ্গে ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। একই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবকে কঠোর চাপ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে রিয়াদ ওয়াশিংটন থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়নে সহায়তাসহ শর্ত তৈরি করেছিল।
গত মাসে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ মোহাম্মদ সালমান বলেছিলেন, আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি যাচ্ছি। তবে ফিলিস্তিন ইস্যু রিয়াদের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সেই অংশটির সমাধান করতে হবে। আমাদের ফিলিস্তিনিদের জীবন সহজ করতে হবে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান এই অস্থিরতার মধ্যে সৌদি আরব গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা চান প্রিন্স ফয়সাল। একই সঙ্গে যেকোনো পক্ষেরই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করাটা সৌদি আরব প্রত্যাখ্যান করে বলে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।