ঈদের আগে ও পরে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকে। কারণ এসময় অনেকে মানুষ দেশের বাইরে বেড়াতে যান। প্রতিবছর ঈদে খুচরা বাজারে ডলারের দাম বাড়লেও এবার কিছুটা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল ও গুলশানের মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতাদে কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে এসব মানি চেঞ্জারগুলো ১১৩ টাকা ডলার বিক্রি করেছে। বৃহস্পতিবার ডলার প্রতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকা। এদিন খুচরা বাজারে ডলার ক্রয় করা হয় ১১১ টাকা ৫০ পয়সা।
এর আগে ২০২২ সালে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশের খোলাবাজারে নগদ ডলারের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে এবং ডলারের দাম নির্ধারণ করে দেয়। এখন ব্যাংকগুলোর নগদ ডলার বিক্রির চেয়ে দেড় টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করতে পারে মানি এক্সচেঞ্জগুলো। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এসব নিয়ম মানছে না মানি চেঞ্জারগুলো।
খুচরা ডলার বিক্রেতারা জানায়, এবছর ঈদের আগে দেশের বাজারে ডলারের সরবরাহ ভালো। তবে এসময় ক্রেতাদের চাহিদা অনেক কম। এবার খুব কম মানুষ ডলার ক্রয় করছেন। এর ফলে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে।
সম্প্রতি ডলার খরচ কমাতে যাচাই-বাছাই করে পাসপোর্টে ডলার ব্যবহারের অনুমোদন দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি কী পরিমাণ ডলার খরচ করা হয়েছে, তাও যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি নাগরিক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার দেশের বাইরে খরচ করতে পারেন।
এদিকে ব্যাংকগুলো রপ্তানি আয়ের ডলার প্রতি ১০৫ টাকা দেয়। এছাড়া প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম ১০৭ টাকা। ডলারের এই দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।